lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-09-18T14:54:22Z
সংবাদ সম্মেলন

কচুয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক এর সংবাদ সম্মেলন

Advertisement


 

কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:

কচুয়ায় সিএস পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক আব্দুর রহমান শেখ, পিতা মৃত নাসির উদ্দিন শেখ। সাং টেংরাখালী, পোস্ট: কচুয়া, থানা- কচুয়া,জেলা বাগেরহাট সংবাদ সম্মেলনে করেছেন। 

১৮ই সেপ্টেম্বর(বুধবার) বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কচুয়া উপজেলা শাখার অস্থায়ী  কার্যালয়ে লিখিত পাঠের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বলেন আমি দীর্ঘদিন যাবৎ সিএস পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ছিলাম। বিগত সরকারের আমলে ২০১৮ সালে যখন বাংলাদেশে ৩০০ টিরও বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারি করণ করা হয়, তার তালিকায় আমাদের সিএস পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর নাম থাকে।সেই সময় সরকারি করণের নাম করে প্রতিটি শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীর নিকট হইতে কমপক্ষে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা করে প্রধান শিক্ষক মোসাঃ মুনিয়া সুলতানার নির্দেশে নেওয়া হয়।কমপক্ষে (৩৪জন) সেই সময় কয়েকটি অর্থ কমিটির মাধ্যমে এই টাকা আদায় করা হয়। আমার এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা তিন কিস্তিতে জমা করি। এখন এই স্কুলটি সরকারি করণ হয়ে গেছে কিন্তু আমার নাম সরকারি তালিকাভুক্ত হয় নাই অথচ চতুর্থ শ্রেণি চার-পাঁচজন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যাদের কোনদিন কেউ স্কুলে চাকরি করে নাই। এর পূর্বে তাদের স্কুলে দেখাও যায়নি। তাহারা এমপিও ভুক্ত ছিলনা তাদেরকে সরকারি করন করা হবে বলে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। টাকা পয়সা গ্রহণ করে তাদেরকে নাম সরকারি করনে দেওয়া হয়েছে এবং জাতীয় করণে তাদের নাম পাস করা হয়েছে। অথচ টাকা নিয়েছিল আমাকে সরকারি করন করবে বলে। আমার নামটা কোন কারনে হয় নাই আমি অবগত নই অথচ প্রধান শিক্ষকের আপন একটি মানসিক প্রতিবন্ধী ভাই কে অন্যায় দুর্নীতি অবিচার করে ভাকে অফিস সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ওই ব্যক্তি কোনদিনই আমাদের স্কুলে চাকরি করেন নাই অফিস সহকারী হিসেবে তাহার খাতা পত্রের কোন লেখা বা কোন রেজুলেশন কোন কিছুই আপনারা পরীক্ষা করে দেখতে চাইলে পারবেন না। বর্তমানে তার ভাইয়ের বয়স প্রায় ৬৫ বছর তার নাম সরকারি করনে আসলো আর আমি দীর্ঘদিন চাকরি করেও আমার নাম বাদ পরল এই রহস্য আমি কিছুতেই বুঝতে পারলাম না।যেহেতু আমার নাম আসেনি সেহেতু আমার কষ্টার্জিত এক লক্ষ ২০হাজার টাকা আমাকে ফেরত দেওয়া হোক। আমি কিন্তু আমায় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা এখন পর্যন্ত ফেরত পাই নাই, আমি অনেকবার এই টাকা ফেরত চেয়েছি অনেক অনুনয় বিনয় করেছি,বলেছি আমি গরিব মানুষ আমার টাকাটা দিয়ে দেন কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমার কথায় কর্ণপাত করেন নাই।এমনকি এই নিয়ে ২০২২ সাল অনেক লেখালেখি অনেক তদন্ত হয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মাধ্যমে। তখনকার আমলে সরকারি প্রভাব খাটিয়ে সেই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।এছারা স্কুলের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে কচুয়া উপজেলা পরিষদে অনেকবার সালিশ বসেছে কিন্তু কোন প্রতিকার পায়নি।

আমি ইতিমধ্যে১১/০৫/২০১৯, তারিখ, আমি অবসরে এসেছি। আমার ইনডেক্স নাম্বার সি ফোর ৭৫ ৯৬৩৫। আমি খুব গরিব মানুষ অসহায় হয়ে গেছি এমত অবস্থায় যদি আমার এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা ফেরত পেতাম তাহলে হয়তো কিছুদিন হলেও সংসার ধর্ম করে বেঁচে থাকতে পারতাম।এছাড়াও লিখিতভাবে আর বিভিন্ন অভিযোগ পাঠ করে শুনান।