lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-09-17T17:16:15Z
ব্রেকিং নিউজ

পঞ্চগড়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে কোর্টে মামলা

Advertisement


 


পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া উপজেলার সিপাইপাড়া গ্ৰামের মোঃ বেলাল হোসেন এর স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা কিশোরী কে একই উপজেলার দগরবাড়ি গ্রামের মোঃ কেরামত আলী পুত্র মোঃ রনি (২৩), সুকৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। 


এমতা অবস্থায় বেলাল হোসেন তার মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে, অতঃপর নয় দিন পর জানতে পারে বেলাল হোসেনের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মোঃ রনি, এবং নির্জন একটি বাসায় রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দৈহিক মেলামেশা করতে থাকে। 


বিষয়টি জানাজানি হলে বেলাল হোসেন, মান সম্মানের ভয়ে মোঃ রনি, বাবা কেরামত আলীর সাথে বিয়ের আলাপ করে এবং দুই পরিবারের সম্মতি ক্রমে কোটের  মাধ্যমে মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন করে। মেয়ের বিয়ের কিছুদিন পরেই বেলাল হোসেন জানতে পারে তার মেয়ে জামাই নেশাখোর আইপিএল খেলোয়াড়। মাঝেমধ্যেই রনি, তার স্ত্রীকে মারপিট করে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য। 


গত ৫ই আগস্ট বিকেল ৪ঃ০০ ঘটিকার সময় বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন জানতে পারে তাদের মেয়ে মোঃ রনির শয়ন ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে নাকি আত্মহত্যা করেছে।মেয়ের আত্মহত্যার কথা শুনে বেলালের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে তাদের মেয়েকে মোঃ রনির, শয়ন কক্ষের বারান্দার মেঝেতে ফেলে রেখেছে। ওই মুহূর্তে মেয়ের আত্মহত্যার কথা শুনে এলাকায় শোকের মাতম বইতে শুরু করে। 


মুহূর্তের মধ্যে তেতুলিয়া মডেল থানায় যোগাযোগ করে বেলাল হোসেন এর মেয়ের মরদেহ নিয়ে যায়। সেই সাথে বেলাল হোসেনের ছোট শালীকা মোছাঃ শিরিন আক্তার  থানায় যায় এবং বেলালের মেয়ের সুরতহাল পরীক্ষা এর সময় তাকেই দেখতে বলা হয়।


 ভুক্তভোগীরা জানান মৃত গৃহবধূর শরীলে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে  এবং সেগুলোর কথা পুলিশকে জানানো হয়।


এ বিষয়ে বেলালের পরিবার থেকে অভিযোগ জানান মৃতদেহের ক্ষত চিহ্ন উল্লেখ না করে স্বাভাবিক মৃত্যু দেখানো হয়েছে সুরতহাল রিপোর্টে এবং মেয়ের বাবাকে ডেকে এনে তড়িঘড়ি করে ইউ ডি মামলার নথিপত্রে সই করিয়ে নেয় তেতুলিয়া থানার এস আই মোঃ তৈয়ব আলী।



এদিকে বেলাল হোসেন এর পরিবারের পক্ষ থেকে জানায় ২ নং তীরনই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মোঃ হাফিজুল আর্মি, সমিরুল ও  রনির বাবা মোঃ কেরামত আলী, ভুক্তভোগী বেলাল হোসেন এর বাড়িতে গিয়ে তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করে তার পরিবার কে ।


 এছাড়াও কেরামত আলী, ও তার ছেলে মোঃ রনি,এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং তার ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।


 এ বিষয়ে বেলাল হোসেনের স্ত্রী   মোছাঃ সালমা আক্তার (৩৭) বাদী হয়ে পঞ্চগড় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এ একটি মামলা করেন, যাহার মামলার ধারা :২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধনীয়/০৩) এর ৯ (ক)/১১(ক)/৩০।

ভুক্তভোগীদের  দাবি আমরা মেয়ের লাশের কোন টাকা নেব না আমার মেয়ের  হত্যাকারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সু-বিচারের দাবি জানাচ্ছি কর্তৃপক্ষের কাছে, তা না হলে আমার মেয়ে মরেও শান্তি পাবে না। 

এ বিষয়ের সত্যতা জানার জন্য তেতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও এস আই তৈয়ব আলী এর সাথে থানায় দেখা করতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি এবং মোবাইলে ফোন দিও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।