lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-09-11T08:09:37Z
ব্রেকিং নিউজ

ইউনিয়ন পরিষদে বসেন না চেয়ারম্যান, কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত নাগরিকরা

Advertisement


 


বরগুনা প্রতিনিধি:

চেয়ার আছে চেয়ারম্যান নাই, ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় ঘোরাফেরা করছেন গুটিকয়েক মেম্বার, গ্রামপুলিশ ও জনগণ। সুনসান নীরবতা। অলস সময় কাটাচ্ছেন সচিবও। বরগুনা সদর থানার ৯ নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এমন দৃশ্য দেখা যায়। 


পরিষদে সেবা নিতে আসা অনেকই জানান, ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্সে, জন্ম নিবন্ধন, চারিত্রিক সনদপত্র, ভূমিহীন সনদপত্র, ওয়ারিশান সনদপত্র, অবিবাহিত সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্র, অসচ্ছল প্রত্যয়নপত্র, নাগরিক সনদপত্র, উত্তরাধিকার সনদপত্র এসব সেবা থেকে বঞ্চিত ইউনিয়নবাসী। অনেকেই পরিষদে ঘুরছেন  তার স্বাক্ষর এর জন্য কিন্তু চেয়ারম্যান না থাকায় প্রতিদিনই ফিরে যাচ্ছেন।


পরিষদের সচিব  মোসাঃরাহিমা আক্তার মুনা বলেন, গত ৫ আগস্ট থেকে  ইউনিয়ন পরিষদে  অনুপস্থিত, এর মধ্যে চেয়ারম্যান  নাজমুল হাসান নাসির গত ২৫ আগস্ট থেকে  ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ছুটি ভোগ করেন বলে জানান সচিব। ছুটি শেষে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে উপস্থিত হয়ে অফিসিয়াল কার্যক্রম করার কথা থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না চেয়ারম্যান এতে মুখ থুবড়ে পড়েছে পরিষদের কার্যক্রম। অনেকেই এসে ফিরে যাচ্ছেন। এতে অনেকটা ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।


চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নাসিরের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আমার অস্থায়ী কার্যলয়ে সকল কার্যক্রম করি এবং সকল ইউপি সদস্যরা সেখানে উপস্থিত থাকে। অস্থায়ী কার্যালয়ে সকল কার্যক্রম চলে বলে জানান তিনি। 


একাধিক ইউপি সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পরিষদে যায় না এবং কারো সাথে কোনো যোগাযোগ নেই, চৌমুহনী অস্থায়ী অফিসের কথা জিজ্ঞাসা করলে সবাই বলে এই অফিস সম্পর্কে তাদেরকে জানানো হয়নি এবং তারা কেউই চৌমুহনী অস্থায়ী  অফিসে চিনেন না। চৌমুহনী অস্থায়ী অফিসটি ৪ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এই ওয়ার্ডের  বর্তমান ইউপি সদস্য সোলাইমান কবির বলেন আমি বেশিরভাগ সময় চৌমুহনী  বাজারে থাকি কিন্তু আমি এই অফিস দেখি নি এই অফিস সম্পর্কে আমাকে বলাও হয়নি। 


এ বিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞার  সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমার কাছে  অস্থায়ী অফিসের  জন্য  অনুমতি চাইলে আমি ৩ (তিন) দিনের জন্য অনুমতি দিয়েছি। সে যদি গত ৫ আগস্ট থেকে অফিসে অনুপস্থিত থাকে লিখিত কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।