lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪
Last Updated 2024-10-25T10:54:59Z
আইন ও আদালত

দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পথসভায় হামলা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকে হত্যাচেষ্টা,ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ

Advertisement



সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের

ইসমাইল মাহমুদ, মৌলভীবাজার:

দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নির্বাচনী পথসভায় হামলা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাজী মুজিবকে হত্যাচেষ্টা, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম, গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে সাবেক কৃষিমন্ত্রী এবং মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুস শহীদকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ২ নম্বর ভুনবীর ইউনিয়ন শাখার সদস্যসচিব মো. আব্দুল আহাদ। তিনি ওই ইউনিয়নের আলীসারকুল গ্রামের মো. মাক্কু মিয়ার ছেলে। মামলায় তিনি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৫৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০০-১৫০ জনকে আসামি করেছেন। এ মামলা নিয়ে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার আদালত ও থানায় চারটি মামলা দায়ের হলো। 

মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আব্দুস শহীদ ছাড়া তার তিন ভাই মোছাদ্দেক হোসেন মানিক, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল ও কমলগঞ্জের ১ নম্বর রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুলকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ভানু লাল রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব বেভুল, সহসভাপতি ও ৭ নম্বর রাজঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী, সাধারণ সম্পাদক জগৎজ্যোতি ধর শুভ্র, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনাম হোসেন চৌধুরী মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ছালিক আহমদ ও বেলায়েত হোসেন, ৬ নম্বর আশীদ্রোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রনেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন জহর, ৮ নম্বর কালিঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা প্রমুখ।

মামলার এজহারে বাদি যুবদল নেতা মো. আব্দুল আহাদ উল্লেখ করেন, ‘২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব) বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ধানেরছড়া প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-৪ আসনে (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) প্রতিদ্বন্ধীতা করেন। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার এবং সরকার সমর্থক ফ্যাসিবাদীর মদদপুষ্ট কর্মী, সমর্থক ও প্রশাসন দ্বারা হামলা, মামলা, গুম, নির্যাতন ইত্যাদি করে দিনের ভোট রাতে এবং কেন্দ্র দখল করে নির্বাচন সম্পন্ন করে মামলার ১ নম্বর আসামী মো. আব্দুস শহীদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। নির্বাচন প্রচার-প্রচারণা চলাকালীন সময়ে মামলায় উল্লেখিত আসামিরা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের প্রতিনিয়ত হুমকি, ধামকি, হামলা, মামলা, নির্যাতন ইত্যাদি করে। ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ধা আনুমানিক ৬টার সময় উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের ভুজপুর বাজারে মামলার ১ নম্বর স্বাক্ষীর (হাজী মুজিবের) নির্বাচনী পথসভা চলাকালীন সময়ে মামলায় উল্লেখিত ১ নম্বর (মো. আব্দুস শহীদ) ও ২ নম্বর (ভানু লাল রায়) আসামির নির্দেশে অন্যান্য আসামীগণসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ দা, লাঠি, রড, ককটেল, ইত্যাদি নিয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পথসভা ঘেরাওপূর্বক এলোপাথারি মারপিটসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। একপর্যায়ে কয়েকজন আসামী উক্ত মামলার ১ নম্বর সাক্ষী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজী মুজিবকে খুন করার উদ্দেশ্যে আঘাত করার জন্য এগিয়ে আসলে আমি (মামলার বাদি)সহ আরো সাক্ষীগণ তাকে ঘেরাও করে প্রাণে রক্ষা করি। এ সময় আসামীগণের এলোপাথারি আঘাতে আমিসহ সাক্ষীগণ আঘাতপ্রাপ্ত হই। তখন কয়েকজন আসামি হাজী মুজিবের ব্যবহৃত গাড়ী ভাংচুর করে আনুমানিক তিন লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধণ করে। আসামিরা ঘটনাস্থলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম পূর্বক এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ঘটনার পর ফ্যাসিবাদী সরকারের কাছে আমাদের জানের নিরাপত্তা না থাকায় এবং পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় মামলা দায়ের করতে পারিনি। বর্তমানে জনগণের সরকার ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এ মামলা দায়ের করলাম।’

শ্রীমঙ্গল থানা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ভুনবীর ইউনিয়নের আলীসারকুল গ্রামের মো. মাক্কু মিয়ার ছেলে আব্দুল আহাদ বাদি হয়ে বাংলাদেশ দÐবিধির ১৪৩/৩২৩/৩০৭/৪২৭/১১৪/৫০৬ (২) পেনাল কোড তৎসহ বিস্ফোরক (ককটেল) পদার্থ আইন ১৯০৮, ৩১৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন।