Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছেন পাবনার টাউন গার্লস হাইস্কুলের (সাময়িক বহিস্কৃত) প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল করিম ফিরোজ। এজন্য তিনি ওই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিন, কয়েকজন শিক্ষক ও বিতর্কিত শিক্ষার্থী এবং সাবেক ম্যানেজিং কমিটিকে দায়ী করেছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এসময় তার স্ত্রী আসমা খাতুন, সন্তান রিফা তাসফিয়া ও ভাই পাবনার ভাঁড়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে রবিউল ইসলাম দাবি করেন, ‘আমার বিরুদ্ধে করা শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন হয়রানি ও বিদ্যালয়ের অর্থ লুটপাট, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। আমার রুমে কোনো আপত্তিকর অপদ্রব্য ছিল না কিন্তু সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে রুমে চাবি দেয়ার পর তিনি বিভিন্ন প্রকার আপত্তিকর অপদ্রব্য আমার কক্ষে রেখে আমার নামে বিভিন্ন স্থানে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যদি কোনো ছাত্রী প্রমাণ করতে পারে আমি তাদের শরীরে হাত দিয়েছি তাহলে আমি নিজেই ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে প্রস্তুত আছি।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ছবির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। বরং আমার পরিবার আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ খানের দ্বারা নির্যাতিত। সহকারী প্রধান শিক্ষক আল-আমিন উদ্দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য আমার নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। তার কোচিংয়ের ছাত্রীদের দিয়ে মিথ্যা যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলছে। এবিষয়ে আমি ন্যায় বিচার চাই।’
এবিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিন বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের পরেই সহকারী প্রধান শিক্ষকের অবস্থান, এজন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে মানুষকে যেন সহজেই বিশ্বাস করানো যায়। আসল কথা অপরাধ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য এবং একটা উছিলা উঠিয়ে বাঁচতে চাচ্ছেন। আমরা তো অভিযোগ করিনি, স্কুলের ছাত্রী এবং সমন্বয়করাই এই অভিযোগ তুলেছে এবং প্রমাণের ভিত্তিতেই প্রশাসন তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।’