lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪
Last Updated 2024-10-20T09:08:03Z
সংবাদ সম্মেলন

মাদারগঞ্জে এমপিভুক্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

Advertisement


 

আকন্দ সোহাগ,মাদারগঞ্জ:

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার মিলনবাজার ভাংবাড়ী আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল ওয়াহেদের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক কারণে বেতন বন্ধের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে একই মাদ্রাসার তিন শিক্ষক-কর্মচারী।  



শনিবার দুপুরে মাদারগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার আশরাফুল ইসলাম, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী ইসমাইল হোসেন ও অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার অপারেটর রোকমা আক্তার জানান, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ কোন প্রকার নোটিশ না দিয়ে তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন। বেতন বন্ধের কারণ জানতে চাইলে অধ্যক্ষ তাদের কাছে টাকা দাবি করে।  



আতিকুর রহমান নামের একজন অভিযোগকারী জানান, ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর নিম্নমান সহায়ক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।




কিন্তু বেতন এমপিওভুক্ত না করিয়ে মূল রেজুলেশন বহি থেকে তার (আতিকুর রহমান) নাম ফ্লুইট দিয়ে মিশিয়ে অধ্যক্ষের সহোদর আব্দুল মোতালেবের নাম লিখে তার বেতনভাতা এমপিওভুক্ত করানো হয়।  


আতিকুর রহমান জানান, ২০১৪ সালে আব্দুল মোতালেব বিদেশে থাকায় নিয়োগ পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। ওই পরীক্ষায় তিনি (আতিকুর রহমান) প্রথম হওয়ায় নিয়োগ পান। কিন্তু ২০২৩ সালে আব্দুল মোতালেব বিদেশ থেকে আসার পর রেজুলেশন বহি থেকে তার নাম মিশিয়ে নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে আব্দুল মোতালেবের নাম অন্তর্ভুক্ত করে বেতন এমপিওভুক্ত করান অধ্যক্ষ আবুল ওয়াহেদ।




অধ্যক্ষের এসব অনৈতিক আচরণের প্রতিকার চেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালকের বরাবরে একাধিক লিখিত অভিযোগের পর তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করেন মাদারগঞ্জ উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্ম শফিকুল হায়দার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।  


এ বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াহেদ জানান, মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাইযুল ওয়াসিমা নাহাতের সাথে তার কথা হয়েছে। যেসব শিক্ষকের বেতন বন্ধ করা হয়েছে, তাদের বেতন ছাড় করা হবে।




তবে জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের সহোদর ভাই আব্দুল মোতালেবকে নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিযুক্ত করে বেতন এমপিওভুক্ত করানোর বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।