lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
Last Updated 2024-10-23T10:07:34Z
ব্রেকিং নিউজ

আটোয়ারীতে মা'য়ের লাশ দেখতে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে আসল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি

Advertisement


 


সালাম মুর্শেদী, (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ মা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সম্পদ। দেখিলে মা'য়ের মুখ, দূর হয় সব দুঃখ। সেই মা'য়ের মৃত মুখখানা শেষবারের মতো দেখতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে আসল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত এক আসামি। 


মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকালে মৃত মা'কে শেষবারের মতো দেখতে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়ন বড় সিঙ্গিয়া গ্রামে ছুটে আসেন ফজলু হক (৪২) নামের এক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি। ফজলু ওই এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। গত ১৭ বছর আগে অর্থ্যাৎ ২০০৭ সালে এক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পান তিনি। 


স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিউর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে ফজলুর মা মারা যান৷ পরে রাতেই ফজলুর ছোট ভাই মানিক সহ বেশ কয়েকজন রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাই৷ সেখানে মানিক তার বড় ভাইকে মা'কে শেষবারের মতো দেখানোর জন্য প্যারোলে মুক্তির জন্য একটি লিখিত আবেদন করেন৷ কারা কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ফজলুকে প্যারোলে মুক্তির ব্যবস্থা করে দেন। 


এরপর কারা কর্তৃপক্ষ একটি মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন কারারক্ষী সহ ফজলুকে গতকাল বিকালে তার গ্রামের বাড়ি আটোয়ারীর বড় সিঙ্গিয়া গ্রামে নিয়ে আসে এবং শেষবারের মতো মৃত মা'য়ের মুখখানা দেখার সুযোগ করে দেন। 


১৭ বছরে পরে মা'কে মৃতৃ অবস্থায় দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ফজলু। এসময় তার হাতে পরা ছিল লোহার শিকল। নিয়তির নির্মম পরিহাসের জন্য মা'র কবরে তিন মুঠো মাটি দিয়ে চলে যেতে হয় আবার ওই জেলখানা নামক পৃথিবীর ভিতরে আরেক ভিন্ন পৃথিবীতে। এ করুণ অবস্থা দেখে এলাকাবাসীরাও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে মায়ের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করে সন্ধ্যায় তাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। 


এ বিষয়ে আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুসা মিয়া জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত এক আসামিকে প্যারোলে জামিনের মাধ্যমে তার মৃত মাকে শেষবারের মতো দেখতে দিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। এমতাবস্থায় সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আমাদের থানা পুলিশের একটি টিমও সেখানে উপস্থিত হয়। ওই আসামির মা'য়ের দাফন সম্পন্ন করে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে রংপুরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।