Advertisement
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল মান্নান মাতুব্বরের ময়েনদিয়ার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৭.১০.২৪) সকালে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মান্নান মাতুব্বরের ভাই মো. সিদ্দিক মাতুব্বর বলেন, পাশের সালথা উপজেলার খারদিয়া গ্রামের লোকজনের সাথে পরমেশ্বরদী, ময়েনদিয়া এলাকার শতাধিক লোকজন এক হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট করে। নগদ ১৬ লাখ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এরপর বাড়ির তিনটা ভবনে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন নেভানোর জন্য পুলিশ কোন লোকজনকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। প্রায় শোয়া ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মান্নান মাতুব্বরের ছেলে মাসুদ মিয়া ও সিদ্দিক মাতুব্বরের ছেলে শাকিল মিয়া মারাত্বক আহত হয়। তাদেরকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফাঠানো হলে সেখান থেকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবেশি এক মহিলাও অস্ত্রের কোপে আহত হয়। সিদ্দিক মাতুব্বর আরও বলেন, ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর থেকেই আমাদের বাড়িতে হামলার পরিকল্পনা চলছে। গত কয়েকদিন ধরে জোর গুঞ্জন শোনার পর রাতেই এলাকায় সেনা বাহিনী ও পুলিশ অবস্থান নেয়। হামলার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, খারদিয়া গ্রামের মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু মিয়ার নামে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দালাল আইনে মামলা হয়। চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মাতুব্বর সেই মামলার ১৬ নং স্বাক্ষী। সেই জন্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদের লোকজন চেয়ারম্যানকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান বলেন, খুব বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্র করেছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা বাহিনী টহলরত আছে। সন্ধ্যার পর তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন। কারও আহত হওয়ার সংবাদ তাঁর জানা নেই।