Advertisement
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর গলাচিপায় হরিদেবপুর-গলাচিপা খেয়াঘাট মাঝিদের ন্যায্য দাবীতে খেয়াঘাট মাঝিদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় এবং উক্ত বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গলাচিপা ক্যাম্পে আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় খেয়াঘাট থেকে মাঝিদের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গলাচিপা মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অস্থায়ী গলাচিপা ক্যাম্পের সামনে এসে জমায়েত হয়। এ সময় মিছিলের শ্লোগানে বলা হয়, এক দফা এক দাবী-খেয়ার টাকা খেয়ায় দিবি। এ বিষয়ে খেয়া ঘাটের মাঝিরা বলেন, আমরা ৫৬ খেয়ার মাঝি রয়েছি। দীর্ঘ বছর থেকেই আমরা খেয়া পারাপার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। আগে আমরা খেয়ার টাকা খেয়ায় নিতাম এবং তরের টাকা ঘাট ইজাদারের লোকজন নিত। কিন্তু বর্তমানে খেয়ার টাকাও তরে বসে ঘাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে এবং আমাদেরকে নামে মাত্র পারিশ্রমিক দিচ্ছে। এতে ঐ টাকার মধ্যেই তেল কিনতে হয় আমাদের। তেল খরচ বাদ দিয়ে যে টাকা আমরা পাই তা দিয়ে আমাদের সংসারে চলে না। এতে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমাদের প্রতি ঘাট ইজারাদার অবিচার করছে। তাই আমরা আমাদের ন্যায্য দাবী জানাচ্ছি যে, খেয়া পারাপারে খেয়ার টাকা আমার খেয়াই তুলতে চাই। আর ঘাটের টাকা ইজারাদার নিবে। আমাদের টাকা ইজারাদারের নেয়ার কোন এখতিয়ার নাই। সরকারি ভাবে ঘাট ইজারা দেয়ার যে নিয়াম আছে আমাদের দাবী সেটা বাস্তবায়িত হোক এবং আমরা এ অন্যায় থেকে মুক্তি পাই। এ বিষয়ে আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গলাচিপা ক্যাম্প কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছি। মাঝিদের সাথে সাধারণ মানুষও একাত্মতা প্রকাশ করেন। গলাচিপা বদরপুর খেয়াঘাট সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিনের নেতৃত্বে মিছলটি বের হয়। এ সময় গলাচিপা বদরপুর খেয়াঘাট সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন বলেন, আমরা আমাদের ন্যায্য দাবী জানাই। নৌকায় আমরা মাঝিরা ৩ টাকা নিতাম এবং ঘাটের ইজারাাদার ৭ টাকা নিত। এখন সব টাকাই ইজারাদার নেয় এবং ইজারাদার আমাদের দৈনিক চুক্তির ভিত্তিতে নামে মাত্র মজুরী প্রদান করেন। মাঝিদের এই দাবী আদায়ের জন্য তাদের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন গলাচিপা শহরের ব্যবসায়ী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মিরন। এ বিষয়ে মো. মোস্তাফিজুর রহমান মিরন বলেন, দিনমজুর, হত দরিদ্র, অসহায় এই মাঝিরা। এই মাঝিরা যেন ডাল-ভাত খেয়ে শান্তিতে জীবন অতিবাহিত করতে পারে। আমি চাই ঘাটের টাকা ইজারাদার নিবে এবং খেয়ার টাকা মাঝিরা নিবে। এতে মাঝিদের সংসারে কিছুটা হলেও স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।