lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
Last Updated 2024-10-17T15:20:44Z
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

মেহেদী হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

Advertisement


 

মিঠুন পাল, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মেহেদী হাসান হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ডাকুয়া ইউনিয়নের আটখালী বাজারে শত শত লোকের উপস্থিতিতে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে দোষীদের বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের স্বজন ও বন্ধুরা।


মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় বাবুল শিকদার, চাচা ইব্রাহিম দুয়ারী, বাবা ইউনূস দুয়ারী সহ আরো অনেকে। মানববন্ধনের ব্যানারে হত্যায় জড়িত মোমেন হাওলাদার, মনির দুয়ারী, শাহাবুদ্দিন দুয়ারী, কবির দুয়ারী, মহসিন দুয়ারী, শাওন দুয়ারী, শাহীন হাওলাদার, লাল মিয়া দুয়ারী ও শিপন দুয়ারীর ছবি দেয়া হয়। এসময় দোষীদের গ্রেফতার ও ফাঁসি দিয়ে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।


গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ডাকুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড পাড় ডাকুয়া গ্রামে পানের বরজ নির্মাণ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ মনির দুয়ারী, মোমেন  ও তার সঙ্গীদের হামলায় গুরুতর আহত হন মেহেদীসহ ৫ জন। আহতরা হলেন মেহেদী হাসান দুয়ারী , ইউনুস দুয়ারী , ইব্রাহীম দুয়ারী, হেলেনা বেগম ও শাকিল দুয়ারী। গুরুতর আহত হওয়ায় মেহেদীকে প্রথমে গলাচিপা হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল ও ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এক সপ্তাহ মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন মেহেদী বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মারা যায়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ও মাথায় হাড় ভাঙা জখম ছিল। মেহেদী অত্যন্ত ভদ্র স্বভাবের ও ঠান্ডা প্রকৃতির লোক ছিল বলে স্থানীয়রা জানান। সে মৃত্যুর আগে ৮ মাসের একটি পুত্র সন্তান রেখে গেছে। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। সন্তানকে হারিয়ে মা ও স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী শোকে কাতর, কান্না যেন থামছে না।


জানা যায়, ডাকুয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাতেম দুয়ারীর পুত্রদের সাথে ৬ নম্বর ওয়ার্ড আটখালী গ্রামের মতি দুয়ারীর পুত্রদের সাথে ৬৬শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।