lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
Last Updated 2024-10-14T09:16:52Z
কমিটি গঠন

জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ পলাশ উপজেলা ১০১ বিশিষ্ট কমিটি গঠন

Advertisement


 


হাজী জাহিদ: 

পলাশ নরসিংদীতে জমিয়াতে ওলামায়ে বাংলাদেশ নরসিংদির পলাশে ১০১ বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবং কর্মী সভা সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এ উপলক্ষে  

নরসিংদীর পলাশে জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম সচিব মাওলানা ফজল করিম কাসেমী  বলেন, ইসলামের প্রতিটি বিধানই মানব কল্যাণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলিম জীবনের সর্বাবস্থায় হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নাহর অনুসরণ করতে হবে। রাসূলের সুন্নাহর মাঝেই রয়েছে বৈষম্যমুক্ত আদর্শ দেশ ও সমাজ গড়ার কার্যকর চাবিকাঠি।

নরসিংদী পলাশ উপজেলা জামিয়াতের ইসলাম বাংলাদেশ সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল ১০১ এর কমিটি গঠন অধিবেশনের সভাপতিত্বে ছিলেন  সভাপতি মুফতি আব্দুর রহিম কাসিমী নরসিংদী, সঞ্চালনায় ক্বারী ইসমাইল হোসেন যুব জমিয়ত যুগ্ন সচিব নরসিংদী, 


রবিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পলাশ বাস স্ট্যান্ড গোল  চত্বরে পলাশ উপজেলা জমিয়াতে ইসলামী বাংলাদেশ  ১০১ বিশিষ্ট কমিটি গঠনের উদ্যোগে প্রধান আলোচক মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী বক্তব্যে  বলেন।

 ইবাদত-বন্দেগী থেকে শুরু করে ইসলামী বিধান ও নির্দেশনার সবকিছুই যদি মেনে চলা হয়, তাহলে জগতে শান্তি আর শান্তি বিরাজ করবে। কোথাও কোন জুলুম- অত্যাচার থাকবে না। অবিচার ও বেইনসাফি থাকবে না। সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হবে। মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদা সমুন্নত থাকবে। আর ইসলামের বিধানকে চিনতে ও বুঝতে হলে রাসূল (সা.) এর সুন্নাহ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন এবং সাহাবায়ে কেরামের জীবনী অধ্যয়ন করতে হবে। তিনি বলেন আরো বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন উৎখাতের পর এখন দেশের সর্বস্তরে বৈষমুক্ত দূর করে ইনসাফ ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার আওয়াজ জোরদার হয়েছে। শান্তি, সহনশীলতা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার কথা বলা হচ্ছে। জাতীয় স্তরে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নাহর পরিপূর্ণ ও যথাযথ অনুশীলন চাল করতে পারলে শান্তি শিক্ষা সুস্বাস্থ্য সবুজ শ্যামলে ভরা বাংলাদেশ ফিরে পাব। একমাত্র সে পথই পারে মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে। এর বিপরীতে অন্যকোন পথে সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে একটি আদর্শ রাষ্ট্র বিনির্মাণ কখনোই সম্ভব নয়।

নরসিংদীর সভাপতি মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমি  বলেন, ছাত্রজনতার এক সফল গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে যদি আবারো কেউ বৈষম্য চাপিয়ে দিতে চায়, তাহলে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না। পতিত স্বৈরাচার সরকার ছাত্র রাজনীতির নামে যে অপরাজনীতির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছিল, জাতি আর তার পুণরাবৃত্তি দেখতে চায় না। অন্তর্বর্তী সরকারকে আবার হত্যাকাণ্ডের যথোপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। ছাত্রদের জন্য আদর্শ শিক্ষার পাঠ ও পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে আগামীর বাংলাদেশ প্রতিটি সেক্টরে পাবে দক্ষ জনশক্তি। তাই শিক্ষাঙ্গনে কোন প্রকার সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যাবে না।


সদস্য সম্মেলন ও অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা লোকমান মাজহারী যুগ্ন সচিব জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশ, হযরত মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ ইসলাম কাসেমী পাঠাগার সম্পাদক, রাকিব হাসান সদস্য সচিব নরসিংদী জেলা শাখা, হযরত মাওলানা সাদিকুর রহমান সিদ্দিকী যুগ্ন আহবায়ক নরসিংদী জেলা শাখা, মাওলানা ফারুক কান্দ্ববী সভাপতি মাদকদি শাখা, মাওলানা আখতারুজ্জামান কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক যুব জমিয়াতে নরসিংদী শাখা, মাওলানা বাইজীদ সিবাজী সভাপতি জামিয়াতে নরসিংদী শাখা, মাওলানা নোমানুল করীম পলাশ উপজেলা,  সাধারণ সম্পাদক পলাশ উপজেলা মাওলানা সোলায়মান গাজী প্রমুখ।  পরিশেষে মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী সাহেব মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করেন।