Advertisement
মোঃ মোরসালিন, পূর্বধলা, নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
১৯৭২ সালে মরহুম আলহাজ্ব মতিউর রহমান খাঁন তাদের ৪০ কাটা জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্যামগঞ্জ হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ। তিনি এটি তার ভাইয়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু গত ১৭ বছর ধরে কলেজটি দুর্নীতি এবং নিয়োগ বাণিজ্যে নিমজ্জিত ছিল। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্যদের কলেজে ঢোকার অনুমতিও দেয়া হয়নি। তখনকার সময়ে সাবেক এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল কলেজটি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জমি দখল এবং স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেন।
৫ আগস্টের গণবিপ্লবের পরে কলেজটি তার হারানো গৌরব ফিরে পেতে শুরু করে। এসময় কলেজের একটি এডহক কমিটি ঘোষণা করা হয়, যেখানে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মাসুদুর রহমান (মুকুল খাঁন) এবং বিদ্যুৎসাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নেন ওবায়দুল আল মাসুম (খোকন)।
৮ অক্টোবর মঙ্গলবার, শ্যামগঞ্জ হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজের এডহক কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, পূর্বধলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতীতে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে। মেধাবীদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, যদি ভবিষ্যতে তিনি এমপি নির্বাচিত হন, তবে পূর্বধলার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি হবেন না। বরং, সাধারণ ও যোগ্য মানুষদের থেকে সভাপতি নির্বাচিত করা হবে। এছাড়াও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, নির্বাচিত হলে শ্যামগঞ্জ হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজটিকে সরকারি করবেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পূর্বধলা উপজেলা ছাত্রদল, যুবদল এবং বিএনপি-র বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।