lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪
Last Updated 2024-10-29T16:47:34Z
রাজনৈতিক সমাবেশ

দোয়ারাবাজারে ২০০৬ সালে পল্টন হত্যাকান্ড ও জুলাই ২০২৪ গণহত্যার বিচারের দাবিতে জামায়াতের সমাবেশ

Advertisement



সোহেল মিয়া,দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরে পল্টন হত্যাকান্ড থেকে ২০২৪ সালের  ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে  জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।


এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুনামগঞ্জ জেলা শূরা সদস্য মাও আব্দুস সাত্তার, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দোয়ারাবাজার উপজেলা জামায়াতের আমীর ডাঃ হারুন অর রশীদ, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাও দেলোয়ার হোসাইন,নায়েবে আমীর মাও সিদ্দিকুল ইসলাম, মাও সিরাজুল ইসলাম,মাও জাহাঙ্গীর আলম। 


বাংলাবাজার ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ক্বারী খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ফিরোজ আল মামুনের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র শিবির নেতা শামিম আহমদ কবির,উপজেলা শিবিরের সভাপতি হাফেজ বেলায়েত হোসাইন বিল্লাল, শিবির নেতা আজিজুর রহমান প্রমুখ।



সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম সব সময় শান্তিতে বিশ্বাসী। জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। যারা জামায়াতকে উগ্রবাদী সংগঠন বলে মিথ্যা অপবাদ করে নানান ভাবে নির্যাতন ও নিপিড়ন করেছে তারা আজ ধ্বংসের পথে। জালিম আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে ২০০৬ সালে ২৪ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল। আওয়ামী জালিম সরকার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এমনকি কোরআনের তাফসির মাহফিল বন্ধ করে দিতেও কার্পণ্য করেনি। তারা হত্যা, গুম, লুটপাট, টেন্ডার বাণিজ্য, পেশী শক্তির মাধ্যমে দেশে এক নায়েকতন্ত কায়েম করতে ছিল। হাজারো নেতাকর্মী ও নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে ঘর ছাড়া, পরিবারের কাছ থেকে সরিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করার জন্য  ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে দেশের অনেক শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের গনহত্যা পরিচালনা করেছে স্বৈরাচারী জালিম আওয়ামীলীগ সরকার।

 ২০০৬ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যেসকল নিরিহ মানুষকে হত্যা, গুম ও খুন করেছে স্বৈরাচারী জালিমেরা এসব অন্যায় ও হত্যার বিচার হতেই হবে। যদি এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না করা হয়, তা হলে দুর্বার গতিতে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করা হবে।


বক্তারা আরো বলেন, ‘পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি বার বার দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে। যারা দেশের জন্য, ন্যায়ের জন্য শহীদ হয়েছেন তাদের কোনো দিন দেশের মানুষের হৃদয় থেকে মুছা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সারাদেশের মানুষের ইতিহাস, এটা কোনে পরিবার বা গোষ্ঠীর একক কোনো ইতিহাস নয়।

বক্তারা বলেন, ‘চার দলীয় জোট সরকারের আমাদের বন্ধু প্রতীম সংগঠন বিএনপির একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, আমাদেরও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল বায়তুল মোকাররমে। কিন্তু ফ্যাসিষ্ট সরকার আওয়ামী লীগ ওই দিন লগি বৈঠা দিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিনে দুপুরে মানুষ হত্যা করেছে। তারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে নিজেরাই নিষিদ্ধ হয়ে গেল। আল্লাহর পরিকল্পনা কতোই না উত্তম তা এই স্বেরাচারকে দেখে শিক্ষা নেওয়া যায়।