Advertisement
সজীব উদ্দীন, দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে গৃহবধূর সাথে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগে মনোয়ার হোসেন নামে এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার ( ৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হাজী পাড়া এলাকায় পরকীয়া প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে আটক হন ঐ ইউপি সদস্য।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভাউলা পাড়া এলাকার আইজুল মাস্টারের ছেলে। তিনি সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যরাত রাতে সদর ইউনিয়নের হাজী পাড়ায় পরকীয়া প্রেমিকার সাথে দেখা করতে আসেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন। পরকীয়া প্রেমিকার শিশু সন্তান কান্নাকাটি করলে তার দেবর দরজার কাছে গিয়ে পুরুষ মানুষের কন্ঠ শুনতে পান। পরে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ঘরের দরজা খুলে দেখেন গৃহবধূর বিছানায় ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন শুয়ে আছেন। এসময় তাকে হাতে নাতে আটক করে এলাকাবাসী।
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রনি ইসলাম বলেন, আমার ভাতিজি কান্নাকাটি করলেও আমার ভাবীর কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় আমি বিছানা থেকে উঠি। পরে আমি শুনতে পাই ভাবীর ঘরে পুরুষ মানুষের কন্ঠ। তারপর আমি আমার মাকে জিজ্ঞাসা করি মা ভাই কি বাসায় এসেছে। মা বলে, তোর ভাই তো বাসায় আসেনি। পরে আমি ভাবির ঘরের দরজার পাশে গিয়ে দাঁড়াই। এই সময় আমি পুরুষ মানুষের কন্ঠ শুনতে পাই। পরে আমি আমার বাড়ির পাশের চাচাকে ডেকে আনি। তারপর ভাবি দরজা খুললে ইউপি সদস্য মনোয়ারকে বিছানায় কাপড় ঠিক করতে দেখা যায়। এ ঘটনায় রাতে অনেকেই সমাধান করার চেষ্টা করেছে আমরা সঠিক বিচারের অপেক্ষায় রয়েছি।
এদিকে পরকীয়া প্রেমিকা রাব্বীনা বলেন, মনোয়ারের সাথে দীর্ঘ দুই বছর থেকে সম্পর্ক রয়েছে। গতরাতে আমার বাসায় দেবর ও শাশুড়ি ছিল শ্বশুর বাসায় ছিলেন না। আমার সাথে মনোয়ার দেখা করতে চায় আমি নিষেধ করলেও সে রাতে আমার বাসায় চলে আসে। এঘটনার পর আমার স্বামী যদি আমাকে না নেয় আমি মনোয়ারের কাছে যাবো।
পরকীয়া সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন, আমাকে রাব্বিনা রাতে ফোন দেয়। আমি তার সাথে দেখা করতে আসলে আমাকে তারা আটকে দেয়। আমি আর বেশি কিছু বলতে পারব না।
এবিষয়ে দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় থেকে রওনা দিয়েছে। তার স্বামী ছাড়া তো আমরা ডিসিশন নিতে পারি না। আপাতত ইউপি সদস্য এবং নারীকে তিন জন গ্ৰাম পুলিশ দিয়ে গৃহবধূর বাসায় রাখা হয়েছে।