Advertisement
বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মিছিল-সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি কবির পঞ্চায়েত। সোমবার রাতে গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানী ব্রিজ এর কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গতকাল সোমবার আমতলী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক তুহিন মৃধার নেতৃত্ব জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করে উপজেলা বিএনপির একাংশ। ওই সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি কবির পঞ্চায়েত রওনা হলে সমাবেশে যেতে বাঁধা দেন গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রফিক বিশ্বাস, মনির ঘরামী সহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। বাঁধ উপেক্ষা করে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মিছিল-সমাবেশে যোগদেন হুমায়ূন কবির। মিছিল-সমাবেশ শেষ করে সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে খেকুয়ানী বাজার এলাকায় তার গাড়ির গতি রোধ করে বেদম মারার দরকারে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত হুমায়ুন কবির পঞ্চায়েত বলেন, বিএনপি'র বহিষ্কৃত নেতা জালাল ফকিরের অনুসারী গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. রফিক বিশ্বাস, মনির ঘরামী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশে যোগদিতে বাঁধ প্রদান করেন তারা। তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে সমাবেশে শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে খেকুয়ানী ব্রিজ কাছে এলে আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে রফিক বিশ্বাস সহ আওয়ামী লীগের নেতারা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সিমেন্ট কেনার জন্য আমার সাথে থাকা সাড়ে তিন লক্ষ টাকা তার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোঃ রফিক বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহারিত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা বিএনপি'র আহবায়ক মোঃ তুহিন মৃধা বলেন, হুমায়ুন কবিরের উপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুন না কেন তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরিফুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।