lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-11-01T05:56:10Z
জাতীয়

সড়ক নির্মাণের ১০ মাসে খানাখন্দ। লক্ষাধীক মানুষের দুর্ভোগ,দ্রুত সংস্কারের দাবী

Advertisement


 


এইচ এম রাসেল, বরগুনা প্রতিনিধি:

সড়ক নির্মাণের ১০ মাসের মাথায় আমতলী -তালতলী সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। ঠিকাদার সগির হোসেনকে সড়ক মেরামতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বারবার চিঠি দিলেও তিনি তাতে সাড়া দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উপজেলা প্রকৌশলীর মোঃ ইদ্রিস আলীর। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অন্তত লক্ষাধীক মানুষের। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। 


জানাগেছে, আমতলী-তালতলীর-ফকিরহাট পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার উপকুলীয় আঞ্চলিক সড়ক। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বার্ষিক জিওবি মেইনটেনেন্স প্রকল্পের আওতায় ৮ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা ব্রীজ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার ৪০০ মিটার সড়ক নির্মাণে তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করে এলজিইডি। বরগুনার ঠিকাদার মোঃ সগির হোসেন ওই সড়ক নির্মাণের কাজ পায়। কাজের দুই প্যাকেজ ২০২২ সালের শেষের দিকে শেষ করে। সর্বশেষ প্যাকেজ তারিকাটা থেকে কচুপাত্রা সড়কের কাজ গত বছর ডিসেম্বর মাসে শুরু করেন ঠিকাদার। ঠিকাদার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা হওয়ায় কার্যাদেশ অনুসারে কাজ না করে নিজের ইচ্ছামাফিক করেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নিন্মমানের কাজ করলেও তৎকালিন আমতলী এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়নি। দায়সারা কাজ করে ঠিকাদার সগির হোসেন সমুদয় টাকা তুলে নেন। সড়ক নির্মাণের ১০ মাসের মাথায় সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। ৫০ মিটার অন্তর অন্তর সড়কে বড় বড় গর্ত হয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ওই সড়ক দিয়ে আমতলী-তালতলী উপজেলার অন্তত লক্ষাধীক মানুষ ও কয়েক শত যানবাহন চলাচল করছে। এদিকে এ সড়ক সংস্কারের জন্য আমতলী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর বারবার ঠিকাদারকে চিঠি দিলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করছে না বলে জানান আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী।  


বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, সড়কের শুধুই খানাখন্দ আর খানাখন্দ। ৫০ মিটার অন্তর অন্তর বড় বড় গর্ত। সড়কে খানাখন্দ থাকায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।  


মোটর সাইকেল চালক মোঃ শাহ আলম তালুকদার বলেন, সড়ক নির্মাণের অল্প দিনের মধ্যেই সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। এখন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়।  


তারিকাটা এলাকার মোতালেব মিয়া, মোশাররফ হোসেন, কবির উদ্দিন ও শহীদুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় নিম্মমানের কাজ করেছে। নির্মাণের ১০ মাসের মাথায় সড়কে খানাখন্দে ভরে গেছে। দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবী জানান তারা। 


ঠিকাদার মোঃ সগির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ধারন ক্ষমতার চেয়ে ভাড়ী যানবাহন চলাচল করায় সড়ক ভেঙ্গে গেছে। এতে আমার কি করার আছে? আমাকে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সড়ক সংস্কারের জন্য চিঠি দিয়েছে। আমি কাজ করে দেয়ার কথা বলেছি।  


আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়ক সংস্কারের জন্য ঠিকাদার সগির  হোসেনকে বেশ কয়েকবার অবহিত করে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তিনি সড়ক সংস্কারের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, তার জামানত আটকে রাখা হয়েছে। 


স্থানীয় সরকার অধিদফতর এলজিইডি বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান খাঁন বলেন, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, জন সাধারণের ভোগান্তি লাঘবে ওই সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।