Advertisement
ইসমাইল মাহমুদ, মৌলভীবাজার:
বাংলাদেশ চা বোর্ডের নব-নিযুক্ত চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন বলেছেন, ‘আমি গত মাসের (অক্টোবর) ২৩ তারিখে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছি। যোগদানের পর আমি সব জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেখে বুঝার চেষ্টা করছি এই চা সেক্টরে কী কী সমস্যা আছে। সমস্যাগুলো আমরা চিহ্নিত করে এই সেক্টরটাকে আরো বেগবান করার জন্য চা বোর্ডের পক্ষ থেকে, সরকারের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সবার পক্ষ থেকে যা যা করণীয় সেটা আমরা করতে প্রস্তুত আছি। আমাদের বাংলাদেশের যতগুলো রপ্তানি পন্য আছে তার মধ্যে চা একটি অন্যতম পন্য ছিল। বর্তমানে এটি রপ্তানি আমাদের কমে গেছে। এটি রপ্তানি কমে যাবার পেছনে যে কারণগুলো আছে তার মধ্যে একটা অন্যতম কারণ হচ্ছে আমরা চায়ের কোয়ালিটিটা ধরে রাখতে পারছি না। আমাদের দেশে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে কিন্তু গুণগতমান ধরে রাখতে পারছি না। চা শিল্পকে যদি এগিয়ে নিতে হয় তবে আমাদের দেশের চায়ের গুণগত মান বাড়াতে হবে। তাহলেই আমাদের রপ্তানি বাড়বে। না হলে আমরা যতই চেষ্টা করি, আমাদের উৎপাদন বাড়বে কিন্তু বাজারমূল্য হ্রাস পাবে। আমাদের রপ্তানি বাড়াতে হলে, বিদেশিদেরকে আমাদের দেশের চায়ের প্রতি আকৃষ্ট করতে হলে আমাদের চায়ের গুণমত মান বাড়াতে হবে।’ তিনি রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট (পিডিইউ) অডিটোরিয়ামে চা বাগানের ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িতদের নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী ‘টি টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল’ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশিষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. ইসমাইল হোসেন এবং ফিনলে টি ভাড়াউড়া ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক ও বাংলাদেশীয় চা সংসদ সিলেট ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান জি এম শিবলী।
‘টি টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল’ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ‘ভ্যালু অ্যাডেড চা প্রদর্শন’ কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এবারের পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে দেশের বিভিন্ন চা বাগানের অর্ধ শতাধিক ব্যবস্থাপক/সহকারী ব্যবস্থাপকগণ অংশগ্রহণ করছেন।