lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-11-21T05:34:59Z
আইন ও অপরাধ

চিলাহাটিতে স্বামীর বালিশ চাপায় স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী গ্রেফতার

Advertisement


 ছবি: প্রতিকী



মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,ডোমার নীলফামারীঃ নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ০১ নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের মুক্তিরহাট সাতঘড়িয়া গ্রামে বালিশ চাপা দিয়ে বিউটি আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী নাসির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত আনুমানিক এগারোটার দিকে ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মুক্তিরহাট সাতঘড়িয়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

এলাকাবাসীর সুত্রে যানাযায়, একই ওয়ার্ডের পাশ্ববর্তী এলাকার আজিমুল ইসলামের মেয়ে বিউটি আক্তার (২২) সাথে ২০২০ইং সালে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক সাতঘরিয়া পাড়ার বেলাল হোসেনের ২য় পুত্র নাসির হোসেনের সাথে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের কোলজুড়ে একটি চার বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। 

তারা আরও জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলে আসছিল। গত শুক্রবার নাসিরের বড় ভাবী পড়ে গিয়ে তার হাত ভেঙ্গে যায় । 

১৯ তারিখ মঙ্গলবার নাসির হোসেন তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে সাথে নিয়ে চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যায়। এবং ভাবির চিকিৎসা শেষে রাত্রি বেলা বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে আসার পর শয়ন ঘরে তার স্ত্রী বিউটি আক্তার এর সাথে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।এসময় তাদের ঘরের মধ্যে অন্য কাউকে প্রবেশ করতে নিষেধ করে নাসির, কিছুক্ষণ পর রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে বিউটি বেগমের বাবার বাড়িতে বিউটির ভাই শরিফুল ইসলামকে নাসির ফোন করে জানিয়ে দেয় যে তোমার বোন আত্মহত্যা করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে বিউটির ভাই শরিফুল ইসলাম তার এলাকা থেকে তিন চার জন লোক নিয়ে নাসিরের বাড়িতে এসে দেখে তার বোনকে বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় সে সময়ে নাসির ব্যতীত বাড়ির লোকজন কেউ নেই সবাই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে শরিফুল চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দিলে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিউটির মরদেহ উদ্ধারসহ নাসিরকে গ্রেফতার করে ডোমার থানায় প্রেরণ করেন।

এবিষয়ে মৃত বিউটি বেগমের ভাই শরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বোনকে নাসির বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে আমাকে ফোন দিয়ে আত্মহত্যার কথা বলেছে আমি তার বাড়িতে গিয়ে দেখলাম এবং বুঝতে পারলাম প্রকৃত অর্থে আমার বোনকে গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে এবং আশেপাশের কেউ যেন কোন শব্দ শুনতে না পারে সেজন্য মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধরেছিল। এ ব্যাপারে ডোমার থানায় আমরা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছি।

গ্রেফতারকৃত নাসির হোসেন ৯নং ওয়ার্ডের সাতঘরিয়া এলাকার বেলাল হোসেনের ২য় সন্তান। 

এবিষয়ে ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম জানান, মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি, এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে ০১ নং আসামী নাসির হোসেনকে গ্রেফতার করে বিঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।