lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-11-09T01:47:26Z
আইন ও অপরাধ

সালথায় গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে মাছ নিধন

Advertisement


 


বিধান মন্ডল, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের সালথায় গ্যাস ট্যাবলেট (রাজটক্স ৫৭%) দিয়ে পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪লাখ টার মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায় বিলপাড়ে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধার পর রাতের কোন সময়ে এই ঘটনার ঘটে। মাছ নিধনের বিষয়ে সালথা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর তাদের উপর হামলা হয়েছে বলেও তারা জানান।


ভুক্তভোগী জামাল মাতুব্বর ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধায় প্রতিদিনের মত পুকুরের নিয়মিত খাবার দিয়ে বাড়িতে যায়, পরদিন শুক্রবার সকালে পুকুরে গিয়ে মাছ মরা অবস্থায় দেখতে পায়। এর জামাল মাতুব্বর গালিগালাজ করলে স্থানীয়রা মাছ দেখতে পেয়ে ধরে নিয়ে যায়। এসময় তারা পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেটের খোশা দেখতে পায়। তারা ১৬টি খোশা খুজে পায়। খোশা নিয়ে বাজারে গেলে সালথা বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যাবসায়ী মানোয়ারের কাছে পরামর্শের জন্য গেলে তারা জানতে পারে বৃহস্পতিবার বিকেলে আবুল বাসার তার কাছ থেকে একবক্স গাস ট্যাবলেট কিনে নিয়ে যায়। মুলত স্থানীয় আবুল বাসার ও কাজী জাকের কাজী এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।


আবুল বাসার মুলত ইদুর তারানোর কথা বলে গ্যাস ট্যাবলেট নিয়েছিলো বলে দোকানদার মানোয়ার জানান। গ্যাস ট্যাবলেটের খালি খোশাগুলি কিছু পুকুরের পাড়ে এবং কিছু অভিযুক্তদের ভেসালের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধন করায় দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার জামান সাবু বলেন, মাছ নিধনের বিষটি দুঃখজনক। ভুক্তভোগীকে মৎস্য বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং তাকে এই বিষয়ে আইনগত সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


এই বিষয়ে অভিযুক্ত আবুল বাসার মাতুব্বর বলেন, প্রতিবছর আমি একবক্স করে গ্যাস ট্যাবলেট কিনে হালি পেঁয়াজের ক্ষেতের চারপাশে দেই। এতে করে ঘুগড়াপোকা আসে না। আমার নিজের পুকুরেও মাছ মরে গেছে। পুকুরের পাশে আমাদের ভেসাল আছে। ষড়যন্ত্র করে কেউ গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধন করতে পারে বলে মনে হচ্ছে। আমরা কারো উপর হামলা করি নাই, উল্টো ওরাই আমাদের উপর হামলা করেছে।


সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে এবং পুলিশ ফিরে আসলে উভয় পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পরে। পুনরায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে।