Advertisement
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে কোরআন শরীফ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগে আপেল মাহমুদ (২৪) কে আটক করেছে পুলিশ। জানা যায় আপেল মাহমুদ ৯ নম্বর হামিদপুর ইউনিয়নের পূর্ব শুকদেবপুর (ঘুঘুমারী) গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আপেল মাহমুদ পার্বতীপুর ভবানীপুর নাফিজা বেকারীর কর্মচারী। সে ঐ বেকারীর মালামাল উপজেলার বিভিন্ন দোকানে পৌছে দেয়ার কাজ করে। পারিবারিক কলহের জের ধরে রাত্রে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে একপর্যায়ে ঘরে থাকা কোরআন শরীফ বাড়ীর পাশে লিচু বাগানে নিয়ে গিয়ে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। দুই পুত্র সন্তানের জননী স্ত্রী দিতি আক্তার মিনারা দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের দুলাল চন্দ্র -এর সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে। সেই থেকে পরিবারে অশান্তির পাশাপাশি শুরু হয় সন্দেহের প্রতিযোগীতা। স্ত্রী দিতি আক্তারের কাছে কোরআন পোড়ানোর বিষয়টি জানতে চাইলে বলেন- সে একই গ্রামের দুলাল চন্দ্র (হিন্দু) এর সাথে নিজের ভাইয়ের মতই সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুত্রে তার সাথে নিয়মিত কথা বলেন। আর সেটি মেনে নিতে পারেন না আপেল। পাশাপাশি তার ধর্মীও জ্ঞান ছিলো খুবই কম সে কারনে এমন একটি কাজ করেছে।
আপেলের বক্তব্য তার স্ত্রী শত নিষেধ সত্ত্বেও গোপনে অন্য ধর্মের একটা মানুষের সাথে কথা বলাসহ অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকান্ড দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে। সেই সাথে প্রতিটি বিষয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কোরআনের উদাহরণ দেয়। বিষয়টি জাতে করে তাকে ধরতে না পারে সর্বোচ্চ কৌশল করে ফোনে কথা বলা শেষে ফোন থেকে সীম বের করে সেটি কোরআন শরীফের ভিতরে রেখে দেয়। সেটি সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী দিতি কোরআন শরীফ হাতে নিয়েও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করার কারনে তা মানতে না পেরে সেই এই অপরাধ করছে বলে নিজে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।
বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত আপেল মাহমুদকে গ্রেফতার করেন। পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত হাফিজ রায়হান বলেন- ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় আপেলকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।