Advertisement
আলমগীর হুসাইন অর্থ:
বিভিন্ন প্রতিকুলতায় দুই দফা সময় ও অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির পর অবশেষে শেষ হতে চলেছে নগরবাড়ী নৌ বন্দরের নির্মাণ কাজ। কর্তৃপক্ষের দাবি নির্মাণ কাজ শেষ হলে জাহাজ থেকে পণ্য খালাশে গতি বাড়বে ১০ গুণ।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত পাবনার নগরবাড়ী বন্দর থেকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত সার,কয়লা,পাথর ও সিমেন্ট সহ বিভিন্ন পণ্য দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬টি (পাবনা,সিরাজগঞ্জ, নাটোর,বগুড়া, নঁওগা,জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়,লালমনিরহাট) জেলায় প্রবেশ করে। ১৯৮৩ সালে চালু হওয়া এই বন্দরের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে ২০১৮ সালে শুরু আধুনিকায়নের কাজ। ৩ বছর মেয়াদী এই নির্মাণ কাজের বরাদ্দ হয় ৫১৩ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। বন্দরের নির্মাণ কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল: ভূমি অধিগ্রহণ, ড্রেজিং, পাকা জেটি,তীর রক্ষা বাধ,সংযোগ সড়ক, ষ্টীল গ্যাংওয়ে, পল্টুন,কাটা তার সহ সীমানা প্রাচীর, যাত্রী ছাউনি সহ পাকা সিড়ি, গুদাম, উন্মুক্ত মজুদ স্থান, বন্দর ভবণ,প্রশাসনিক ভবন,পরিদর্শন বাংলো,ডরমিটরি ও পাইলট হাউজ নির্মাণ।
২০২১ সালের জুনে বন্দরের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় (অতিরিক্ত সময় ও নির্ধারিত বরাদ্দের চেয়ে ২১ কোটি টাকা বেশি ব্যয় হওয়ায়) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবির প্রেক্ষিতে নির্মাণের সময়কাল ১ বছর ও বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয় ৩৯ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। সেই অনুযায়ী ২০২২ সালের জুনে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে আবারও বৃদ্ধি করা হয় ২ বছর সময় ও ১০ কোটি ৫ লক্ষ টাকা অর্থ বরাদ্দ। তবে সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে ৫৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই বন্দরের ৯০ শতাংশ নির্মাণ কাজ এখন দৃশ্যমান।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস এস রহমান গ্রুপের প্রকল্প ব্যবস্থাপক বদরুল আমিন জানান,সকল জটিলতা অতিক্রম করে বন্দরের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। অতি অল্প সময়ে বাকি কাজ সমাপ্ত হবে।
নগরবাড়ী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াকিল বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দরের মত আধুনিক যন্ত্রাদির সাহায্যে জাহাজ থেকে পণ্য খালাশ করা হবে। সেক্ষেত্রে বন্দরের কাজের গতি বাড়বে প্রায় ১০ গুণ।
এদিকে নগরবাড়ী বন্দর আধুনিকায়ন হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা জানান,বন্দরের নির্মাণ কাজ হলে পণ্য খালাশে সময় ও খরচ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান।