lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-11-23T10:10:23Z
ইতিহাস ঐতিহ্য

পাবনা শহরের তাড়াশ রাজবাড়ী প্রায় দুইশত বছরের পুরাতন

Advertisement


 

হৃদয় হোসাইন,পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা শহরে ১৮ শতকের কোনো এক সময়ে নির্মিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা তাড়াশ রাজবাড়ী। এটি কারও কাছে তাড়াশ ভবন নামেও পরিচিত। প্রায় দুইশ বছরের পুরাতন ইতিহাস নিয়ে পাবনা শহরের বুকে দাঁড়িয়ে আছে এ রাজবাড়ীটি। জানা যায়, ব্রিটিশ শাসনামলে এভবনটি নির্মাণ করেন তাড়াশের তৎকালীন জমিদার রায়বাহাদুর বনমালী রায়। স্থাপত্যের দিক দিয়ে এটির সঙ্গে ইউরোপীয় রেনেসাঁ রীতির সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। সূত্রে জানা যায়, ১৯৪২ সনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আতঙ্কে জমিদার বনমালী রায় বাহাদুরের বংশধররা তাদের পাবনা শহরে নির্মিত ঐতিহাসিক তাড়াশ ভবনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর এটিকে সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। এর আগে ভবনটি বিভিন্ন সরকারি দফতর ও পাবনা মেডিকেল কলেজের ভবন হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে। আরও জানা গেছে, তৎকালীন আমলে পাবনার জমিদারদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও নামকরা বলে পরিচিত ছিলেন তাড়াশের এ জমিদার। এ জমিদারই তাড়াশের রায়বংশের পূর্বপুরুষ বাসুদেব। তাড়াশেরিএ পরিবারটি ছিল পাবনা জেলার সবচেয়ে বড় জমিদার। বাসুদেব নবাব মুর্শিদকুলি খানের রাজস্ব বিভাগে চাকরি করে নির্মাণ করেন রাজবাড়ী। এ সময় তকে ‘রায়চৌধুরী’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। তার এস্টেট ছিল প্রায় ২০০ মৌজা নিয়ে।ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসন আমলে ইউরোপীয় রেনেসাঁ রীতির প্রভাবে নির্মিত তাড়াশ জমিদার বাড়ি তাড়াশের জমিদার রায় বাহাদুর বনমালী রায়ের অর্থানুকূল্যের স্মৃতি নিয়ে জেগে আছে। তাড়াশ জমিদারদের পাবনা শহরে নির্মিত প্রাসাদ ভবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট এর প্রবেশ তোরণ। ভবনটি আয়তাকৃতির এবং এর আয়তন দৈর্ঘ্যে ৩০ দশমিক ৪০ মিটার (১০০ ফুট) এবং প্রস্থ ১৮ দশমিক ২৮ মিটার (৬০ ফুট)। চারটি কোরিনথিয়ান স্তম্ভের উপরে আকর্ষণীয় দ্বিতল বারান্দা সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাড়াশ জমিদার ভবনের দুই পাশে দু’টি বর্ধিত অঙ্গ সংযুক্ত রয়েছে এবং সর্বত্র অর্ধবৃত্তাকৃতির খিলান সুষমভাবে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। ১৯১৪ সালে রায়চৌধুরীর মৃত্যু হয়। ১৯৫০ সালে জমিদার প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত বনমালী রায়ের দত্তক দুই ছেলে এই জমিদারী পরিচালনা করতেন। পাবনা অঞ্চলের সর্ববৃহৎ জমিদার কর্তৃক নির্মিত তাদের অমর কীর্তি পাবনা শহরের তাড়াশ ভবন আজও তাদের স্মৃতি বহন করে দাঁড়িয়ে আছে। এক সময় তাড়াশ ভবন জাদুঘর নির্মাণের দাবি করা হয়।