Advertisement
সজীব উদ্দীন ,দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড় )প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনোয়ার হোসেনকে নারী কেলেঙ্কারিতে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে অপর সদস্য ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে দেবীগঞ্জ থানায় ফরহাদ হোসেনকে প্রধান আসামী করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৯/১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে এজাহার জমা দেন মনোয়ার হোসেন।
এজাহার ও ভুক্তভোগী মনোয়ার হোসেন জানান, বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে মনোয়ার বিএনপি'র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন সময়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। যার জেরে ফরহাদ হোসেন এই পুরো ঘটনায় ইন্ধন যোগান। গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে হাজিপাড়া এলাকার রাব্বিনা আক্তার শ্বশুর বাড়ি থেকে মনোয়ারের ফোনে কল করেন দেখা করার জন্য। রাব্বিনা সম্পর্কে খালাতো বোন হওয়ায় মনোয়ার সরল মনে সেখানে যায়। এই সময় রাব্বিনা হঠাৎ করে মনোয়ারের হাত ধরে তার শয়ন কক্ষে নিয়ে যায়। এই সময় আগে থেকে ফরহাদ হোসেনসহ ওঁৎ পেতে থাকা অন্যান্য অভিযুক্তরা এসে রাব্বিনার ঘরের দরজায় কড়া নাড়লে সে দরজা খুলে দেয়। এই সময় কিছু বুঝে উঠার আগে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে সবাই মিলে মনোয়ারকে বেধড়ক মারধর করার পর পা বেঁধে বিছানায় শোয়ায় রাখা হয়। পরে সকালে তাকে ঘর থেকে বের করে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়। এই ঘটনা রফাদফা করার প্রস্তাব দিয়ে মনোয়ারের নিকট মোটা অঙ্কের টাকাও দাবি করেন ফরহাদ হোসেন, এমনটাই অভিযোগ মনোয়ার হোসেনের।
এত কিছুর পরও রাব্বিনার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি বরং তার স্বামী রুবেল ইসলাম ঢাকা থেকে বাসায় ফেরার পর রবিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মনোয়ারকে তার বাসায় দিয়ে আসা হয়। এমন ঘটনায় দুই দিন পার হওয়ার পরও কোন আইনী পদক্ষেপ বা সালিশি বৈঠক না হওয়ায় তা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
বাড়ি ফেরার পর বর্তমানে মনোয়ার চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। সরেজমিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে মনোয়ার হোসেনের শরীরের বিভিন্ন অংশে মারধরের ফলে কালশিটের দাগ দেখা যায়।
যদিও রাব্বিনা বলেন, গত দুই বছর থেকে তার সাথে মনোয়ারের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিনও সে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল।
এদিকে ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি শোনার পর ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হওয়ায় ঘটনাস্থলে যাই। আগে যাওয়ারতো প্রশ্নই আসে না। তবে কোন ঘটনায় ইন্ধন দেইনি, সালিশও করিনি। টাকা দাবি বা মারধরে নেতৃত্ব দেওয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা পুরো ভিত্তিহীন। মনোয়ার যুবলীগ করতেন বলেও দাবি করেন এই ইউপি সদস্য।
এবিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।