Advertisement
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুরে দু'পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী তাজুদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।আটককৃত আসামী তাজুদ আলী নরসিংপুর ইউনিয়নের উত্তর নেতরছই গ্রামের বাসিন্দা।
মামলায় অন্য আসামীরা হলেন- ওই গ্রামের ১। ইছাক মিয়া (৫২) পিতা মৃত শফাত উল্লাহ, ২। আয়না মিয়া, পিতা : আশিক মিয়া, ৩। তাজুদ আলী পিতা: অজ্ঞাত, ৪। কবির মিয়া, পিতা: তাজুদ আলী ৫। তানভীর মিয়া, পিতা : তাজুদ আলী, ৬। দিলওয়ার মিয়া, পিতা: মৃত মাসুক মিয়া, ৭। আশিক মিয়া পিতা: মৃত শফাত উল্লাহ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে তালার চাবি দেয়া-নেয়াকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের মৃত ছফাত উল্লাহ'র পুত্র ইছহাক মিয়া ও বরকত উল্লার পুত্র জামিল হোসেন( ২১) মধ্যে মুখামুখি হয়। এসময় ইছহাক মিয়া'র আত্মীয়স্বজন এসে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে লোহার রড,রামদা ও দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র দিয়ে মারধর শুরু করে। এতে দু'পক্ষের ১৫ জন আহত হয়।
এতে গুরুতর আহত জামিল হোসেনের পক্ষের আহতরূ হলেন-মৃত: আব্দুর রশীদ এর পুত্র তোতা মিয়া (৮০),বাদশা মিয়া(৮৫),তোতা মিয়ার পুত্র শাহজাহান মিয়া (৩৫),বাদশা মিয়ার পুত্র জাহির আলী (৩৫),রজব আলী (৪৫),ইব্রাহিমআলী (২৫),আনছার আলী (২২),রজব আলীর পুত্র হাবিব মিয়া (২২)ও সাজনা বেগম,তাহমিনা বেগমসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতরা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসারত আছেন। এরমধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এঘটনায় পরের দিন নেতরছৈই গ্রামের বরকত আলী'র পুত্র জামিল হোসেন বাদী হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান, সঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর দুষ্কৃতকারী একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারেও পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উত্তর নেতরছই গ্রামে দুই পক্ষের মারামারি আহত প্রায় ১৫ জন। থানায় মামলা, গ্রেফতার ১। গত শুক্রবার সকাল অনুমানিক ১১ - ১২ টার মধ্যে এই মারামারি ঘটনা ঘটে। মামলার সূত্রে জানা যায় উত্তর নেতরছই গ্রামের ইছহাক মিয়া ও আশিক মিয়া গং কর্তৃক তালার চাবি দেয়া নেয়া কে কেন্দ্র করে এই মারামারি ঘটনা ঘটে। ইছহাক মিয়া ও তার ভাই বাতিজা বাগনা মিলে লোহার রড, রামদা ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে নিরিহ তোতা মিয়া (৬২), শাহজাহান আলী, ইব্রাহিম আলী, জাহির আলী, বাদশা মিয়া, আনছার আলী, মিজান মিয়া, শাজনারা বেগম, তাহমিনা বেগম প্রমুখ এর উপর আক্রমণ করেন। এতে শাহজাহান আলী, ইব্রাহিম আলী, তোতা মিয়া, জাহির আলী, বাদশা মিয়া, তাহমিনা বেগম, শাজনারা বেগম এর অবস্থা আশংকাজনক থাকায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আর বাকিদের কে ছাতক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। আহত শাহজাহান আলীগং চিকিৎসাধীন থাকায় তাদের পক্ষে তার চাচাত ভাই জামিল হোসেন বাদি হয়ে ১। ইছাক মিয়া (৫২) পিতা মৃত শফাত উল্লাহ, ২। আয়না মিয়া, পিতা : আশিক মিয়া, ৩। তাজুদ আলী পিতা: অজ্ঞাত, ৪। কবির মিয়া, পিতা: তাজুদ আলী ৫। তানভীর মিয়া, পিতা : তাজুদ আলী, ৬। দিলওয়ার মিয়া, পিতা: মৃত মাসুক মিয়া, ৭। আশিক মিয়া পিতা: মৃত শফাত উল্লাহ সর্ব সাং উত্তর নেতরছই কে আসামি করে দোয়ারা বাজার থানায় মামলা করেন। শনিবার দুপুরে আসামী তাজুদ আলী দোয়ারা বাজার গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে রাতে কারাগারে প্রেরণ করেন।