lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-11-03T04:41:52Z
ব্রেকিং নিউজ

গংগাচড়ায় সিয়াম মিয়ার হত্যাকান্ডে রহস্য উদঘাটন, প্রধান খুনির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী"

Advertisement


 

রবীন্দ্রনাথ সরকার, রংপুর (গংগাচড়া) প্রতিনিধি:

গংগাচড়া থানার খলেয়া ইউনিয়নের ভিন্নজগত বিনোদন পার্ক ঘেঁষা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের ক্যানেল সংলগ্ন লালচাঁদপুর সাকিনের -মৃত নূরুল ইসলাম এর পুত্র লাভলু মিয়ার ধানক্ষেত হতে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ সিয়াম মিয়া এর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গংগাচড়া থানার উপ- পুলিশ পরিদর্শক ডেভিড  হিমাদ্রী বর্মা জানান গত ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ সকালে সিয়াম মিয়া এর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর পরই রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে গংগাচড়া থানা পুলিশ।   এসময় মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার, রংপুর মহোদয়ের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ও মোঃ আল এমরান, অফিসার ইনচার্জ, গংগাচড়া মডেল থানা, রংপুরের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ- পুলিশ পরিদর্শক ডেভিড  হিমাদ্রী বর্মা গোপন তদন্তে ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মুলতঃ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিয়াম মিয়া হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেন। সিয়াম মিয়া হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামীরা আত্মগোপনে চলে গেলে  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গংগাচড়া মডেল থানার  উপ- পুলিশ পরিদর্শক ডেভিড  হিমাদ্রী বর্মা সনাক্তকৃত আসামীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য  RAB, রংপুর এর সিপিএসসি ক্যাম্পের সহায়তার জন্য রিকুইজিশন দিলে গত ১ নভেম্বর, ২০১৪ বিকেলে  গংগাচড়া থানা পুলিশ ও RAB এর টিমের যৌথ অভিযানে গংগাচড়া থানার খলেয়া গঞ্জিপুর মাঝাপাড়া সাকিনের চায়ের দোকানী আনারুল ইসলাম এর পুত্র মাদকাসক্ত স্বাধীন মিয়া (২২) কে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গংগাচড়া থানায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ- পুলিশ পরিদর্শক ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা অত্যন্ত নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম মিয়া হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেন। সিয়াম মিয়া ভিন্নজগত বিনোদন পার্কে তার নিজস্ব ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতো এবং পাশাপাশি খলেয়া গঞ্জিপুর বাজারে মাদকাসক্ত ইট বালু বিক্রয়ের ব্যবসা করতো। হত্যাকান্ডের ৩/৪ দিন আগে সিয়াম মিয়া তার ক্যামেরা ৪০,০০০/- টাকায় বিক্রি করে দেয়।  আর্থিক অভাব অনটন মেটানো ও নেশার টাকা সংগ্রহ করার জন্য সিয়াম মিয়া নিকটে থাকা টাকা নেয়ার উদ্দেশ্যে স্বাধীন মিয়াসহ তার সহযোগী খুনিরা সিয়াম মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা  করে। পরিকল্পনা  অনুযায়ী মোবাইল ফোনে কৌশলে ঘটনাস্থলে সিয়াম মিয়া কে ২৭ অক্টোবর, ২০২৪  তারিখ রাত্রি অনুমান ১০:৩০ ঘটিকার সময় উক্ত তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের ক্যানেলের বাধের উপর ডেকে অপর সহযোগী খুনিদের সহায়তায় স্বাধীন মিয়া ছুরি দ্বারা সিয়াম মিয়া এর গলায়, মাথায় ছুরিকাঘাত করে ও স্বাধীন মিয়া তার পরিহিত টি- শার্ট খুলে গলা চেপে ধরে সিয়াম মিয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করে মৃত সিয়াম মিয়ার প্যান্টের পকেটে থাকা ১১৫০/-,  মোবাইল ফোন ও সিয়াম মিয়ার ব্যবহৃত পুরাতন মোটর সাইকেল নিয়ে খুনিরা পালিয়ে যায়। ধৃত স্বাধীন মিয়া গতকাল মুনতাজ আলী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট, আমলী আদালত, গংগাচড়া, রংপুরের আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে খুনি স্বাধীন মিয়া কে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে আরও জানা যায় হত্যাকান্ডে জড়িত অপর খুনিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।