Advertisement
আলমগীর হুসাইন অর্থ:
পাবনা'য় অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী বাউত উৎসব। শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভোরে পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলাধীন রুহুল বিলে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী এ বাউত উৎসব। বাউত উৎসবে নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল,পাবনা সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত সৌখিন মৎস্য শিকারিরা অংশ নেয়।
কাক ডাকা ভোরে পলো, খেয়া জাল, বাদাই জালসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ নিয়ে দলবেঁধে বিলে নেমে মাছ শিকার শুরু করেন সৌখিন মৎস্য শিকারিরা। বাউত উৎসবে বোয়াল, শোল, রুই, কাতল সহ নানা রকম মাছ শিকারের মাধ্যমে আনন্দ মেতেছেন অংশ গ্রহণকারী মৎস্য শিকারিরা।
বাউত উৎসব পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়,রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে অন্তত ২০টি বাস। এসব বাসে কুষ্টিয়া, নাটোর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছেন মৎস্য শিকারিরা। এছাড়াও ইজিবাইক, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে এসেছেন অনেক মৎস্য শিকারি। বাউত উৎসবে প্রায় দুই হাজার মৎস্য শিকারি অংশ গ্রহণ করেন।
স্থানীয়'রা জানান,পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার রুহুল বিলে দলবেঁধে মাছ ধরার এই আয়োজনের নাম ‘বাউত উৎসব’। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে মাসব্যাপী চলে এই উৎসব। চলনবিলের রুহুল বিল, ডিকশির বিল, রামের বিলসহ বিভিন্ন বিলে মাসব্যাপী চলে এই বাউত উৎসব।দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাউত উৎসবে অংশ নেন হাজারো মানুষ। তবে বিলে কাঙ্ক্ষিত মাছের দেখা না মিলায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ সৌখিন মৎস্য শিকারিরা। বিলে কাঙ্ক্ষিত মাছ না থাকার কারণ হিসেবে অবৈধ জাল ও গ্যাস ট্যাবলেট কে দায়ী করেন তারা।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, মাছের প্রজনন ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি না করে বাউত উৎসব পালন করা জরুরি। এ বিষয়ে মৎস্য শিকারিদের সচেতন হতে হবে।