Advertisement
মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের শিবচরে বোনের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে মাদারীপুরের শিবচরে বাশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান খোকন বয়াতীর যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম।
রবিবার বিকেলে শিবচর পৌর মার্কেটে ২য়তলা সাংবাদিক সস্মেলন কালে এ অভিযোগ করেছেন হাসিনা বেগম।
সংবাদ সস্মেলনে হাসিনা বেগম জানান,আমার পিতার মৃত্যুর পর আমি আমার পিতার সম্পত্তি ওয়ারিস হই। আমরা ছয় বোন তিন ভাই। সকলেই পিতার সম্পত্তি ওয়ারিশ হওয়ার পরেও আমার ভাই আনোয়ার হোসেন বেপারী (৩৫), জাকির হোসেন (৩০), নূর মোহাম্মদ হাওলাদার (৩৬) আমাদের সম্পত্তি না দিয়ে উক্ত সম্পতি তাদের নিকট বিক্রির জন্য চাপ দেয়। আমি বিবাদীদের সঠিক মূল্য দিতে বলিলে। বিবাদীরা আমাকে টাকা দিতে বলিলে বিবাদীরা আমাকে সঠিক মূল্য না দিয়া অল্প দাম দিয়া সম্পত্তি কেনার পায়তারা করেন আর এর সহযোগীতা করেন বাঁশ কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন বয়াতি।
আমার ভাইরা চেয়ারম্যানের যোগসাজসে পরস্পর শলাপরামর্শ করিয়া আমাকে ভুল বুঝাইয়া ফুসলাইয়া।গত (১১ মার্চ ২৪ )আমাকে শিবচর আনিয়া শিবচর সরকারি হাসপাতালে পিছনে মোহরিপট্টিতে নিয়া জোর পূর্বক ষ্ট্যাম্পে সহি করাইয়া নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, ৪,০০,০০০/- টাকা দিয়া বাকী ১৬,০০,০০০/- টাকা দিবে মর্মে লিখিত ষ্টাম্প করে ঐ ষ্টাম্পটি ৩নং বিবাদী আমার নিকট হতে নিয়া ছিড়িয়া ফেলে। বিবাদীরা প্রতারনা পূর্বক আমার নিকট হইতে জমি দলিলের জন্য সহি নিয়া সম্পূর্ণ টাকা না দিয়া আমাকে ভয়ভীতি দেখাইয়া আসিতেছে।
আমি বিবাদীদের নিকট পাওনা টাকা চাইলে টাকা দিবে না বলিয়া হুমকী দিয়া আসিতেছে। এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা বাঁশকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোকন বয়াতির কাছে বার বার সালিশী দিলে কোন পাত্তাই দেয়নি,শুধু তাই নয় খোকন বয়াতি চেয়ারম্যান হিসেবে আমার ইউনিয়ন দ্বায়িত্ব থাকায় বার বার তার কাছে বিচার চাইলেও কোন সমাধান করেননি এরপর আমি থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করিলে খোকন চেয়ারম্যান বিবাদীদের থানায় আসতে বাধা সৃষ্টি করে।উক্ত ঘটনা অনেকে জানে ও শোনে। বিবাদীরা ভবিষ্যতে আমাদের যে কোন ক্ষয়ক্ষতি করিতে পারে। আমি এ প্রতারণা বিষয়ে বিবাদীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি ,আমি যেন আমার ওয়ারিশ সম্পাতি সঠিক ভাবে পেতে পারি এ দাবি করছি।