Advertisement
মীর ইমরান-মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুর শিবচর উপজেলার ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে কুতুবপুরে ইউনিয়নে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রকল্পটি স্থানান্তরের খবরে ফসে উঠেছে স্থানীয়রা। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিবচরের আশাবাদী মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রকল্পটি শিবচর থেকে স্থানান্তর করে পূর্বাচলে নেওয়ার খবর চালাচ্ছে । প্রকল্পটি শিবচর থেকে স্থানান্তর হলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে জমির মালিকেরা।
পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়ের পাশে এমন একটি মেগাপ্রকল্প নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে শিবচরের কুতুবপুরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় ৭০একর জমির উপর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ১হাজার ৫শত কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ২৪৮কোটি টাকা কাজের জন্য ব্যয় হয়। জমি অধিগ্রহন করে বিদুৎ সংযোগ, মাটি ভরাট ও পাইলিং-এর কাজও করা হয়। প্রকল্পে জমিদাতা বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকাও প্রদান করাও হয়েছে।
প্রকল্পে জমিদাতা ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা মোঃ জিল্লুর মাদবর জানান, বাংলাদেশ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রকল্পের জন্য আমার প্রায় ৫বিঘা জমি দিয়েছি। সেখানে এরমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে, কিন্তু এখন শুনতেছি যে এখান থেকে প্রকল্পটি স্থানান্তর করা হবে। শত শত বিঘা সম্পত্তি নষ্ট করে এখন যদি এখান থেকে প্রকল্পটি সরিয়ে নেয়া হয় তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
প্রকল্পে জমিদাতা ক্ষতিপূরণ পাওয়া বাসিন্দা নাসির বেপারী বলেন, এই প্রকল্পের জন্য আমার প্রায় ৮বিঘা জমি দিয়েছি। এখনও পুরো ক্ষতিপূরণ পাইনি। ক্ষতিপূরণ ডিসি অফিসে আটকে আছে। প্রকল্প সরিয়ে নিলে আমরাতো ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমরা চাই প্রকল্পটি এখানেই থাকুক। এতে আমাদের উপকার হবে, দক্ষিণাঞ্চল উন্নতি হবে।
প্রকল্পটির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মিজানুর রহমান শিকদার জানান, লোকবলের কারণে কাজ ধীরগতিতে চলছে। প্রকল্প স্থানান্তরের কোন চিঠি আমরা এখনও পাইনি প্রকল্পটি শিবচর থেকে পূর্বাচলে স্থানান্তর করা হবে এমন সংবাদ টেলিভিশনে আমিও দেখেছি। এর বেশি আমি আর বলতে পারবো না।