lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-12-15T10:32:14Z
ব্রেকিং নিউজ

উন্নয়ন বঞ্চিত উপকুলীয় অঞ্চল সাবেক বরগুনা-৩ আসন পুর্নবহাল প্রাণের দাবী

Advertisement


 

এইচ এম রাসেল, বরগুনা প্রতিনিধি:

উন্নয়ন বঞ্চিত উপকুলীয় অঞ্চল সাবেক বরগুনা -৩ (আমতলী-তালতলী) আসন পুর্নবহাল সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবী। অবহেলিত এ উপকলীয় অঞ্চলকে উন্নয়নের রোল মডেল গড়ে তুলতে আসন বিন্যাসের বিকল্প নেই। অন্তবর্তি সরকারের কাছে দ্রুত এ আসনটি পুর্নবহাদের দাবী উন্নয়ন বঞ্চিত আমতলী-তালতলীর জনগনের। ২০০৮ সালের ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশের গ্রেজেটে উল্লেখ আছে, ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক সুবিধার বিবেচনায় বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন বিলুপ্তির কোন যুক্তি নেই।

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের উপকুলীয় জেলার নাম বরগুনা। এ জেলা ছয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। আয়তন ১৮৩১.৩১ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা ১০ লক্ষ ১০ হাজার ৫৩০ জন। বরগুনা জেলার দক্ষিণে কোন ভুমি নেই। আছে শুধু সমুদ্র, দিগন্ত বিস্তৃত অন্তহীন জলরাশি। ছয়টি উপজেলার মধ্যে তালতলী ও পাথরঘাটার পর আর কোন জনপথ নেই। এরপর সমুদ্র ও জলরাশি। ১৮৭৫ সালে বাখেরগঞ্জ জেলার পঁাচটি মহাকুমা ছিল। মহাকুমাগুলো হলো সদর, দক্ষিণ শাহাবাজপুর, মাদারীপুর, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী। ১৮৫৯ সালে বরগুনা , আমতলী ও খেপুপাড়া নিয়ে গুলিশাখালী থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৮০ সালে ব্রজমোহন দত্ত বাউফল, গলাচিপা, মিজার্গঁঞ্জ ও গুলিশাখালী থানা নিয়ে পটুয়াখালী নতুন মহাকুমা প্রতিষ্ঠা করেন। তখন আমতলী ছিল গুলিশাখালী থানার অধিনে একটি জনপথ। পায়রা নদী ভাঙ্গন ও গুলিশাখালী থানা উত্তরাঞ্চলে হওয়ায় গুলিশাখালী থানাকে মধ্যবতর্ী স্থান আমতলীতে স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ১৯০১ সালে গুলিশাখালী থানাকে আমতলী একে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৪৪ সালে গুলিশাখালী থানা আমতলী থানার রুপান্তরিত হয় । ওই সময়ে গুলিশাখালী থানা বিলুপ্ত হয়ে যায়। ১৯৮২ সালের ৩ নভেম্বর আমতলী ও বরগুনা থানা উপজেলায় রুপান্তরিত হয়। ১৯৮৪ সালে আমতলী, বরগুনা সদর, বামনা, পাথরঘাটা ও বেতাগী নিয়ে বরগুনা জেলায় উন্নীত হয়। ২০১০ সালের ৬ মে আমতলী উপজেলা থেকে তালতলী বিভক্ত হয়ে তালতলী উপজেলায় রুপান্তরিত হয়। বরগুনা জেলার ছয়টি উপজেলাকে পায়রা (বুরিশ্বর) ও বিশখালী নদীতে বিভক্ত করে রেখেছে। পায়রা নদীর পুর্ব পাড়ে আমতলী ও তালতলী উপজেলা। পশ্চিম দিকে বরগুনা সদর ও বেতাগী উপজেলা। বিশখালী নদীর পশ্চিম দিকে পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা। স্বাধীনতার পর থেকে বরগুনা জেলায় তিনটি সংসদীয় আসন ছিল। তৎকালীন সরকার বাহাদুর পায়রা ও বিশখালী নদীর ওপর ভিত্তি করে অবহেলিত বরগুনা জেলাকে তিনটি সংসদীয় আসনে বিভক্ত করেন। বরগুনা সদর ও বেতাগী উপজেলা নিয়ে বরগুনা-১ আসন, পাথরঘাটা ও বামনা নিয়ে বরগুনা-২ আসন এবং আমতলী ও তালতলী নিয়ে বরগুনা-৩ আসন। সমবন্ঠনের মাধ্যমে চলছিল তিনটি সংসদীয় আসনের উন্নয়ন। কিন্তু ২০০৮ সালে সেনা শাসিত তত্বাবধায়ক সরকার সরেজমিনে পরিদর্শন না করেই আওয়ামীলীগকে সুবিধা দিতে কাল্পনিতভাবে বরগুনা জেলার তিনটি সংসদীয় আসনকে ভেঙ্গে দুইটি সংসদীয় আসনে বিন্যাস্ত করেন। বরগুনা সদর, আমতলী, তালতলী উপজেলা নিয়ে বরগুনা-১ আসন এবং পাথরঘাটা, বেতাগী ও বামনা উপজেলা নিয়ে বরগুনা-২ আসন গঠন করা হয়। এতে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে পরে সর্ব দক্ষিণের উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলী উপজেলা।

২০২২ সালের আদম শুমানী অনুসারে আমতলী উপজেলার জনসংখ্যা ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৪৬ জন। তালতলী উপজেলার জনসংখ্যা ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৯১ এবং বরগুনা সদর উপজেলার জনসংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩৭ জন। তিন উপজেলার মোট জনসংখ্যা ছয় লক্ষ ২৮ হাজার ৩৮৬ জন। ভোটার সংখ্যা ( বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী) অথ্যার্ৎ বরগুনা -১ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯১৭। এর মধ্যে আমতলী ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৩৪৭, তালতলী উপজেলায় ৮২ হাজার ৫’শ ৩০ ও বরগুনা সদর উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৪০ জন। এ তিনটি উপজেলার মধ্যে প্রমত্তা পায়না নদী প্রবাহমান। যার দৈঘ্য ৯০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৪ কিলোমিটার। পায়রা নদী পাড় হয়ে জনগনের সাংসদের সেবা গ্রহন করতে হয়। যা অত্যান্ত কষ্টসাধ্য। তারপরে নিবার্চন কালীন সময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামাল দিতে হিমসীম খেতে হয়। ফলে নির্বাচনের গ্রহন যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।

বরগুনা-২ আসনেও একই অবস্থা বিরজমান। পাথরঘাটা উপজেলায় জনসংখ্যা ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮’শ ৭৫, বেতাগী উপজেলায় এক লক্ষ পচিশ হাজার ৪’শ ৬৪ ও বামনা উপজেলায় ৭৮ হাজার ৯’শ ৪২ জন। তিন উপজেলায় মোট জনসংখ্যা ৩ লক্ষ ৮২ হাজার ২৮১ জন। ভোটার সংখ্যা তিন লক্ষ ১৭ হাজার ২৫৬ জন। বরগুনা- ২ আসনে তিনটি উপজেলা। পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী। ওই তিন উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহমান বিষখালী নদী। এতোও জনপ্রতিনিধিকে জনগনের সেবা দিতে হীমসীম খেতে হয় এবং নিবার্চনকালীন সময়ে আইণশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বেশ বেগ পেতে হয়। পায়রা ও বিষখালী নদীর দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে নিবার্চনের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে তুমুল প্রশ্ন দেখা দেয়।

আমতলী-তালতলী উপজেলা বাংলাদেশের দক্ষিণের শেষ প্রান্তের সাগর পাড়ের উপকুলীয় উপজেলা। বন্যা,জ্বলোচ্ছাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গেই যুদ্ধ করে উপকুলের জনপথের মানুষের বেঁচে থাকতে হয়। নিত্য নতুন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে মিতালী করেই এ জনপথের মানুষের বসবাস। কিন্তু এ জনপথের অবহেলিত মানুষের দুঃখ দুর্দশা বোঝার মত জনপ্রতিনিধি নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগে আশ্রয় নিতে উপকুলবাসীর জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র নেই। এ উপজেলা দুটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ। তালতলী উপজেলায় রয়েছে আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের বসবাস। এ উপজেলায় ১৩ টি উপজাতি (রাখাইন) পাড়ায় প্রায় তিন হাজার উপজাতির বসবাস। সমুদ্রপাড়ের এ উপজেলাটি স্বাধীনতার পুর্বে থেকেই অবহেলিত। অবহেলিত এ উপজেলাকে উন্নয়নের দ্বোর গোড়ায় পৌছে দিতে হলে আসন বিন্যাসের বিকল্প নেই। তারপর আমতলী-তালতলী উপজেলায় দরিদ্র জনগোষ্ঠির বসবাস। এ জনগোষ্টিকে উন্নয়নের মুল ধারায় আনতে হলে আমতলী-তালতলী উপজেলাকে সংসদীয় আসন বিন্যাস করতে হবে বলে জানান সৈয়দ আসাদুজ্জামান কাওসার।

আমতলী-তালতলী উপজেলার স্বাধীনতার পর থেকেই বরগুনা-৩ আসনে বিন্যাস্ত ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে তা শুরু আলাদা আসনের কারনে। ২০০৮ সালে বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন বিলুপ্ত হওয়ায় এ দুই উপজেলায় চোখে পড়ার মত কোন উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়নের মহাসড়কে উন্নীত করতে আসন বিন্যাসের প্রাণের দাবী আমতলী-তালতলী সাড়ে তিন লক্ষ জনগনের বলে দাবী করেন আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার।

তালতলী উপজেলার সাগরপাড়ে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উঠেছে রাখাইন পল্লী, টেংরাগিরি বনাঞ্চল, আশার চর, ফাতরার বন। ১০ হাজার ৫০০ কিলোমিটার এ ফাতরার বনে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। এ প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে হলে আলাদাভাবে উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ উন্নয়নের অগ্রাধিকার দিতে হলে আলাদা আসন প্রয়োজন। প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষনাবেক্ষণে পর্যাপ্ত বন নিরাপত্তা কমর্ীর প্রয়োজন হলেও তা অপ্রতুল। ফলে প্রতি বছর শত কোটি টাকার প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন তঁাতশিল্প তথা হস্ত শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রেখেছে বলে জানান সাংবাদিক রাখাইন মংচিংথান।

সাগরকুল ঘেষা এ উপজেলা মৎস্য সম্পদে ভরপুর। আমতলী-তালতলী দুই উপজেলার অন্তত প্রায় ১৩ হাজার জেলে পরিবার রয়েছে। তাড়াই মৎস্য সম্পদ আহরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করে। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় মৎস্য সম্পদের ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হয়। তারপরও জাতীয় অর্থনীতিতে এ মৎস্য সম্পদ গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রেখেছে। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাধ শম্ভু মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে কোন ভুমিকা রাখেননি। ফলে বছরে অন্তত হাজার কোটি টাকার লাভ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এ জনপথের জেলেরা। কৃষি সম্পদ বেষ্টিত এ উপজেলা দুটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ। এ দুই উপজেলার ধান বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি হয়। দুই উপজেলার আবাদি জমির পরিমান ৪০ হাজার ৪৪১ হেক্টর। দুই উপজেলাই ধান চাষে বিখ্যাত। এ দুই উপজেলার উৎপাদিত ফসল উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানী হয়। জাতীয় অর্থনীতিতে ধান গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রেখেছে বলে জানান কৃষক ফরিদ মুন্সি।

গাবতলী গ্রামের মোঃ ইসহাক হাওলাদার বলেন, উন্নয়ন বঞ্চিত উপকুলীয় অঞ্চলকে উন্নয়নের আওতায় আনতে হলে আসন বিন্যাসের বিকল্প নেই। বরগুনা-১ আসন বিন্যাস করে সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসনে উন্নীত করনের দাবী জানান তিনি।

নজরুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, আমতলী-তালতলী মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে আসন বিন্যাসের বিকল্প নেই। দ্রুত আসনটি বিন্যাসের দাবী জানাই।

কাউনিয়া গ্রামের জিয়া উদ্দিন জুয়েল বলেন, প্রশ্নহীন গ্রহনযোগ্য নিবার্চনে বরগুনা আসন দুটি বিন্যাস্ত করতে হবে। পায়রা ও বিশখালী নদীর সীমানা ধরে বরগুনার দুটি আসনকে তিনটি আসনে বিন্যাস্ত করলেই উপকুলীয় অঞ্চল বরগুনা জেলার মানুষের দুঃখ কষ্ট লাঘব হবে।

বগীর হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির রিয়াজ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমতলী-তালতলী একটি আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে সেনাশাসিত তত্ত্বারধায়ক সরকার আওয়ামীলীগকে সুবিধা দিতে সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন সীমানা নির্ধারনের জুজু দেখিয়ে বিলুপ্তি করে বরগুনা-১ আসনের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়। এতে আমতলী-তালতলীর মানুষ চরমভাবে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়াও প্রান্তিক জনগন সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ তুহিন মৃধা বলেন, ২০০৮ সালে সেনা শাসিত তত্বাবধায়ক সরকার সরেজমিনে পরিদর্শন না করেই আওয়ামীলীগ দলকে সুবিধা দিতে বরগুনা-৩ আসনকে বিলুপ্ত করে বরগুনা-১ আসনের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়। এতে উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলী উপজেলার মানুষের বেশ সমস্যায় সম্মুখিন হতে হয়েছে। উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে দুই উপজেলার মানুষ । মানুষের কষ্ট লাঘবে সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) পুর্নবহাল দুই উপজেলার মানুষের প্রাণের দাবী।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট গাজী মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভৌগলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক সুবিধার জন্য সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন পুর্নবহাল খুবই প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, বরগুনা-১ আসনের সঙ্গে সাবেক বরগুনা -৩ (আমতলী-তালতলী) একিভূত করায় ভোট গ্রহনে প্রশ্ন দেখা দেয়। সুষ্ঠু নিবার্চনে এটা বেশ অন্তরায়। দ্রুত সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন পুর্নবহাল খুবই প্রয়োজন।

বাংলাদেশ বিমানের সাবেক ক্যাপ্টেন মোঃ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন বিলুপ্ত করায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। ভোগান্তি লাঘবে আমতলী-তালতলী আসন আবারো পুর্নবহাল প্রয়োজন। জীবনের ঝঁুকি নিয়ে উত্তাল পায়রা নদী পাড় হয়ে আমতলী-তালতলীর সাড়ে তিন লক্ষ মানুষকে বরগুনা সাংসদের কাছে যেতে হয়। এতে কষ্টের শেষ থাকে না। তিনি আরো বলেন, নিবার্চন কমিশনে আমতলী-তালতলী উপজেলার মানুষের গণস্বাক্ষরসহ আবেদন জমা দিয়েছি।

সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসনের প্রাক্তণ সাংসদ অধ্যাপক অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ মল্লিক বলেন, আসন পুর্নবহালের প্রয়োজনীয়তা ভেবেই নিবার্চন কমিশনে আবেদন করেছি। আগামী ১৯ ডিসেম্বর শুনানী হবে। ওই শুনানীতে আমি অংশগ্রহন করে পুর্নবহালের দাবীতে জোড়ালো ভুমিকা রাখবো। তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশের গ্রেজেটে উল্লেখ আছে ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রশাসনিক সুবিধার বিবেচনায় বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন বিলুপ্তির কোন যুক্তি নেই। আশাকরি এবার সাবেক বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন পুর্নবহাল হবে।