lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
Last Updated 2024-12-25T02:58:33Z
জাতীয়ব্রেকিং নিউজ

পঞ্চগড়ে নিয়োগ সংক্রান্ত অপ্রীতিকর অবস্থা নিয়ে চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সংবাদ সম্মেলন

Advertisement


 

আসমা আক্তার আখি, পঞ্চগড়:

পঞ্চগড়ে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সংবাদ সম্মেলন করেছে। 


সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চগড় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রতিনিধি মোঃ সাইফুল ইসলাম নজির বলেন,  আপনারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে গত ২০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) মকবুলার রহমান সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পঞ্চগড়'র তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের দুইদিন ব্যাপী নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম দিন সকাল ১০ টায় পরীক্ষা চলাকালীন কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয় জেনেছেন।যে  ঘটনা এক তরফা ভাবে মিডিয়ায় এসেছে। তবে বাস্তব ও ঘটনার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে যা আপনাদের অনেকের জানা নাই।



গত ১০ ডিসেম্বর  আদালতের নেজারত বিভাগ হতে গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণ করার জন্য অধ্যক্ষ বরাবর অনুরোধসহ আনুষ্ঠানিকভাবে পত্র প্রেরণ করা হয়।


পরবর্তীতে পঞ্চগড়ের মাননীয় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডল স্যার অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে পরীক্ষার তারিখ ও আনুষাঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিস্তারিত আলাপ করেন এবং কলেজের অধ্যক্ষের মতামত অনুযায়ী পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।


পরবর্তীতে গত ১৫ ডিসেম্বর  সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মো. আশরাফুজ্জামান সরেজমিনে সেই কলেজে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষের সাথে আলোচনা করেন এবং উক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে একাডেমিক কাম এক্সমিনেশন ভবন ও একাডেমিক পুরাতন ভবন কলা এই দুইটি বিল্ডিং এ পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত দুইজন শিক্ষক ও কর্মচারী এর দেওয়া তথ্য মোতাবেক দুইটি বিল্ডিং এর প্রতিটি কক্ষে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুযায়ী বেঞ্চ পুনবিন্যাস করা হয়। পরীক্ষার দিন রাতে অর্থাৎ গত ১৯ ডিসেম্বর একজন সরকারী জজ ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিছু কর্মচারী সহ সেই কলেজে গিয়ে আসন বিন্যাস সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করে আসেন।


গত ২০ ডিসেম্বর পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে আমরা জানতে পারি যে পাঁচ তলা বিল্ডিং এর পঞ্চম তোলার ৫০৪ ও ৫০৫ নং কক্ষ দুটি তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে এবং পরীক্ষার্থীরা কক্ষের বাহিরে অপেক্ষমান আছে সেই সময়ে তাৎক্ষণিক অধ্যক্ষকে অবহিত করলে উনি কিছুক্ষণ পর জানান যে সেই দুই কক্ষের চাবি যার কাছে আছে সে ছুটিতে এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ এই অবস্থায় পুনরায় উক্ত বিষয়ে অধ্যক্ষ কে বলা হলে তিনি হাতুড়ি দিয়ে তালা ভাঙ্গার কথা বলেন কিন্তু কলেজের কোন স্টাফ সে ব্যাপারে কোন সহযোগিতা করে নাই।ইতিমধ্যে পরীক্ষার নির্ধারিত সময় হয়ে গেলে উক্ত দুইটি কক্ষ ব্যতীত বাকি ১২ টি কক্ষে পরীক্ষা শুরু করা হয় তারা কেন পরীক্ষা দিতে পারছে না তা নিয়ে আন্দোলন শুরু করে।


 অন্যদিকে  দুই কক্ষের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে বহিরাগত কিছু লোক  একজোট হয়ে পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে  প্রবেশ করে  প্রশ্ন ফাঁস ও অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ করে প্রশ্ন পত্র ছিড়ে ফেলে৷ পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরীক্ষা বানচাল করার জন্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতি  সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীরা ও  শিক্ষার্থী নয় এমন একটি  দল নিয়োগ কমিটির নিকটে এসে আটটি দাবি পেশ করে। 


এমতাবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না থাকায় সিজেএম নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরীক্ষার সকল কার্যক্রম স্থগিত করে এবং অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে সেই বিজ্ঞপ্তি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন। 



এছাড়াও কেন সেদিন উক্ত কক্ষ দুটি তালাবধ্য ছিল সে বিষয়ে মকবুলা রহমান কলেজের অধ্যক্ষ'র কাছে লিখিতভাবে জানতে চেয়েছেন।