lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-01-24T14:01:33Z
ব্রেকিং নিউজ

পাবিপ্রবি হলে ছাত্রদল কর্মী কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

Advertisement


 

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের রুমে ঢুকে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলকর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৫২৬ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্ত ছাত্রদলকর্মীরা হলেন সৈকত, শিহাব, ইমন, ওমর ফারুক ও জাকির। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামের অনুসারী।ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন মুরাদ হাসান। তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

 এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিকেল থেকে হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল গেটে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মুরাদ হাসান জানান, অভিযুক্ত ছাত্রদলকর্মী ওমর ফারুক আর তিনি ৫২৬ রুমে থাকেন। ওমর ফারুক মাঝেমধ্যেই তার সঙ্গে ঝামেলা করতেন।

তিন দিন আগে রুমে দরজা খোলা নিয়ে মুরাদের সঙ্গে ওমর ফারুকের কথা-কাটাকাটি হয়। এই ঘটনা ওমর ফারুক শিহাবকে জানান। 

এরপর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওমর ফারুক মুরাদকে ঘুম থেকে তুলে নাক ঢাকার জন্য বকাঝকা করেন এবং তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। আজ জুমার নামাজ পড়ে শিহাব ওমর ফারুককে হলের ছাদে ডেকে ঝামেলা না করার জন্য হুঁশিয়ার করেন।

হলের ছাদ থেকে মুরাদ রুমে গেলে ওমর ফারুক ওই রুমে শিহাব, সৈকত, ইমন, জাকিরসহ কয়েকজনকে ঢেকে আনেন। এরপর তারা মুরাদকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে রুমের ব্যাট নিয়ে মুরাদকে মারতে গেলে মুরাদের রুমমেটরা তাদের আটকে দেন। এরপর ছাত্রদলের ওই কর্মীরা রুম ত্যাগ করেন।

মুরাদকে মারধরের পর অন্য রুমের শিক্ষার্থীরা মুরাদের রুমে আসেন।এরপর তারা মুরাদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

মুরাদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মুরাদকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়েছে। ফলে ওর বাঁ চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ডাক্তার ওকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ওমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার ফোনে বারবার কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।আরেক অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শিহাব বলেন, ‘আমি মারধরের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমি ওর ঝামেলা মেটাতে রুমে গিয়েছিলাম।’অভিযুক্ত আরেক শিক্ষার্থী ইমন বলেন, ‘আমি এ ঘটনায় জড়িত ছিলাম না। আমি মারধরের সময় রুমে ছিলাম। শিহাব, সৈকত, ওমর ফারুকরা তাকে মারধর করেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঝামেলাটা ওদের ব্যক্তিগত। এটার সঙ্গে আমার দলের কোনো সম্পর্ক নাই। ওরা আমার সঙ্গে রাজনীতি করতে পারে, কিন্তু এই ঘটনার দায় ছাত্রদলের না। প্রশাসন ওদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেয়, আমরা সেটা মেনে নেব।’