Advertisement
নুরুল করিম, মহেশখালী:
কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলার বদরখালীতে গাড়ির জন্য অপেক্ষামান এক কিশোরীকে ধারালো অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
৬ ই জানুয়ারী সকালে ধর্ষণের দ্রুত বিচারের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে ছাত্র জনতা। চকরিয়া উপজেলার বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর পূর্বাংশে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী কিশোরী রেখা মনি (১৫) মহেশখালী উপজেলার ফকিরাঘোনার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে এখন পরিবারের হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরী গণমাধ্যমকর্মীদের জানায়, রোববার চট্টগ্রাম চাম্বল বাজার থেকে বাসে বদরখালী স্ট্যান্ডে পৌঁছায় রাত সাড়ে ১০ টার দিকে। পরে মহেশখালীর গ্রামের বাড়িতে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছালে চালক গাড়ির ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার কথা জানায়। পরে ওই কিশোরী গাড়ি থেকে নেমে ব্রিজের পূর্ব অংশে সামনের দিকে হেঁটে যাচ্ছিল। এসময় অজ্ঞাতপরিচয়ের এক যুবক তাকে গতিরোধ করে মুখ চেপে ধরে। এতে শোর চিৎকার করতে চাইলে অপর এক যুবক ছোরার ভয় দেখিয়ে পাশের প্যারাবনের দিকে নিয়ে যায়।
এরপর ওই দুই যুবক কিশোরীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে সেখানে উপস্থিত আরও দুই যুবক নির্যাতন করে। ভুক্তভোগী কিশোরীকে সেখানে প্যারাবনের আরও ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়ে। পরে সেখানে আরও চার যুবক পরপর নির্যাতন চালালে কিশোরী অবচেতন হয়ে পড়ে।
সড়কে চলাচলরত পথচারী ও গাড়ি চালকদের কাছে সহযোগিতা চাইলেও কেউ সাড়া দেয়নি জানিয়ে ভুক্তভোগী এ কিশোরী বলেন, ‘ঘটনার এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী কিশোরীর জ্ঞান ফিরলে শোর-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কিশোরীর দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টার পাশাপাশি গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ ঘটনার কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ভুক্তভোগী কিশোরী পরিবারের হেফাজতে রয়েছে।’ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী ও পরিবারের কারও লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করবে বলে জানান তিনি।