Advertisement
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দুধকুমার নদীর ভাঙন রোধে ভুরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী থেকে নাগেশ্বরী হয়ে কুড়িগ্রাম যাত্রাপুর পর্যন্ত ৩৭.৭কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ তৈরী হচ্ছে। এটি নির্মাণ শেষ হলে বন্যা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে নদী পাড়ের শতাধিক গ্রামের মানুষ আর পাল্টে যাবে আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং বাড়বে মফস্বলের।জীবন যাত্রার উন্নয়ন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞার যথার্থ নির্দেশে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তারঞ্চল রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবর রহমানের সার্বিক প্রচেষ্টায় এবং কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মুন্না হকের তত্ত্বাবধানে দুধকুমার নদীর ভাঙন রোধে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাটেশ্বরী থেকে নাগেশ্বরী উপজেলা হয়ে কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর পর্যন্ত ৩৭.৭কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ৯টি প্যাকেজে ৩৭কোটি ৭০লাখ ১২হাজার ৩২৮টাকা ৪৮পয়সা বরাদ্দে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ দ্রুত গতিতে তৈরী হচ্ছে। ইতোমধ্য ঠিকাদার রিপন সরকার ও হারুন অর রশিদ নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মুড়িয়া ঘাট থেকে বামনডাঙ্গা (আয়নালের) ঘাটের পূর্বে ৫০০মিটার পর্যন্ত দুধকুমার নদীর ভাঙন রোধে বিধি মোতাবেক দ্রুত তৈরী করছে প্রায় দুই।কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বাঁধ নির্মাণ শেষ হলে সামনের বন্যা-নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে ও বন্যা থেকে রক্ষা পাবে কৃষি জমি ও নদী পাড়ের মানুষ। এছাড়া এই বাঁধ স্থানীয়দের নিরপেক্ষ চলাকালসহ পাল্টে যাবে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থা। এরই মধ্য এই প্যাকেজের বাঁধের ৫০শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরে বর্ষার মধ্য শতভাগ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঠিকাদার রিপন সরকার বলেন, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মুড়িয়া ঘাট থেকে বামনডাঙ্গা (আয়নালের) ঘাটের পূর্ব পর্যন্ত দুধকুমার নদীর ভাঙন রোধে বিধি মোতাবেক দ্রুত তৈরী চলছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এলাকার মানুষ বন্যা ও কৃষি জমি রক্ষা পাবে। এলাকার উন্নয়নে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হবে।
স্থানীয় আমজাদ হোসেন, এনামুল হক, জামাল হোসেন ব্যাপারী, বাবলু মিয়া বলেন, বাঁধটি তৈরী হলে ভুরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে। নিরপেক্ষ চলাচলের প্রধান বাহক হিসেবে বাঁধটি ব্যবহার হবে। পাল্টে যাবে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থা।
কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান বলেন, দুধকুমার নদীর পাড় ঘেঁসে ভুরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী থেকে নাগেশ্বরী হয়ে কুড়িগ্রাম যাত্রাপুর পর্যন্ত ৯টি প্যাকেজে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের কাজ যথা সময়ে শেষ হওয়ার আশা করছি। বাঁধটি নির্মিত হলে এই এলাকার মানুষ বন্যা থেকে রক্ষা পাবে এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে উপকৃত হবে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তারঞ্চল রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবর রহমান বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজি মুহাম্মদ আমিরুল হক মহোদয়ের ভূঞার যথার্থ নির্দেশ মোতাবেক আমরা কুড়িগ্রামের নদী ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করছি। কাজ সন্তোষজনক।