lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-01-11T11:16:32Z
কৃষি

আমতলীতে ৯০০ হেক্টর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ, ভালো ফলন পাওয়ার আশা

Advertisement


 


এইচ এম রাসেল, বরগুনা প্রতিনিধি:

আমতলী উপজেলায় ৯’শ হেক্টর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষকরা ভালো ফসল পাবেন বলে আশা করছেন।  

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার ৪ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে এ বছর তরমুজ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯’শ হেক্টর জমিতে  আগাম  তরমুজ চাষ করা হয়েছে। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় চাষিরা পলিব্যগে তরমুজ চারা উৎপাদন করেছে। ওই চারা  জমিতে রোপন করেছেন। ইতিমধ্যে চারার ডগায় ফুল ধরেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে গাছে তরমুজের ফলন আসবে বলেন জানান কৃষকরা। অপর দিকে আমন ধান কাটা শেষ হওয়ায় চাষিরা তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। 

শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, গুলিশাখালী চর, কুকুয়া, আজিমপুর, আঠারোগাছিয়া ও সোনাখালী গ্রামে চাষিরা আগাম তরমুজ চাষ করছেন। তরমুজ গাছের ডগায় ফুল ধরেছে।  কৃষকরা গাছের যত্ন নিচ্ছে। পরিমানমত পানি ও কীটনাশক দিচ্ছেন। 

পশ্চিম সোনখালী চাষি খোকন খাঁন বলেন, দের মাস আগে পলিথিনে উৎপাদন করা তরমুজ চারা জমিতে রোপন করেছি। আগামী এক মাসের মধ্যে ওই গাছের তরমুজ কাটা যাবে।

কুকুয়া ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের তরমুজ চাষি মনির হাওলাদার ও জলিল আকন বলেন, আগাম তরমুজ চাষ করেছি। গাছ ভালোই হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ভালো ফলন আসবে।   

গুলিশাখালী চরে তরমুজ চাষী বাবুল মাস্টার বলেন, ২০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। গাছ ভালোই বেড়েছে এবং ফুল ধরেছে। আশা করি ভালো ফলন হবে। 

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ঈছা বলেন, এ বছর উপজেলায় ৪ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। এ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, ৯’শ হেক্টর জমিতে চাষিরা আগাম তরমুজ চাষ করেছেন। ওই গাছ বেশ ভালোই হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে বেশ ভালো ফসল পাবে কৃষকরা।