lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-01-29T07:13:05Z
কৃষি

সুজানগরে রাইস ট্রান্স প্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

Advertisement


 


এম মনিরুজ্জামান, পাবনা: সুজানগরে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে বোরো (উফশী) ধানের সমলয়ে চাষাবাদে চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা  কর্মসূচির আওতায় মঙ্গলবার বিকেলে পাবনার সুজানগর পৌরসভার বলরামপুর মাঠে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।  উপজেলা  কৃষি সম্প্রসারণ  অধিদপ্তরের  আয়োজনে, স্থানীয় সুধীজন ও কৃষক-কৃষাণীদের নিয়ে উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির  উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড.মোঃ জামাল উদ্দিন । উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম। এ সময় অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোহাম্মদ ফারুক হোসেন চৌধুরী, কৃষি  প্রকৌশলী সুমন চন্দ্র কুন্ডু, উপ সহকারী কৃষি অফিসার পার্থ প্রতিম রায়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি কৃষিবিদ ড.মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, রাইস প্লান্টার পদ্ধতি শ্রম,সময়,অর্থ সাশ্রয়ের একটি আধুনিক পদ্ধতি । যা কৃষিকে যান্ত্রিকিরণের একটি সময়োপযুগী মাধ্যম। এতে ফসলের মাঠের আন্ত:পরিচর্যা,চারার গুনগত মান ঠিক থাকে। ফলন বৃদ্ধি হয়। কৃষকের উন্নয়নের জন্য সরকার কৃষি প্রণোদনা সহায়তার আওতায় কৃষি যন্ত্র বিতরণ, সুলভ মূল্যে কৃষি উপকরণ প্রদানসহ নানাবিধ সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন  ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ১বিঘা জমি চারা রোপন করতে সময় লাগে ১ ঘন্টা এবং খরচ হয় মাত্র ৪০০ টাকা। যেখানে শ্রমিক দিয়ে রোপন করলে খরচ হয় ১৫০০-২০০০ টাকা। তাই ট্রান্সপ্লান্টারে রোপন করলে শ্রম, সময় ও অর্থ কম লাগে বা সাশ্রয় হয় বিধায় উপস্থিত কৃষকগণকে এ ভাবে সমলয় ভিত্তিতে চাষাবদ করার অনুরোধ জানান। 

স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, আগে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যান্ত্রিকীকরণ পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ করার কোনো ধারণা ছিল না।বর্তমান কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ওসহায়তায় আমরা এ বছর প্রথমবারের মতো কয়েক বিঘা জমি বোরো আবাদের আওতায় আনবো। ফসল উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার ও উন্নত জাত ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি অফিস। তাদের পরামর্শে স্বল্প সময়ে অধিক উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহারে ঝুঁকছেন চাষীরা। এখন শ্রমিকদের অপেক্ষায় দিন গুণতে হয় না বলেও  জানান তারা।