Advertisement
আলমগীর হুসাইন অর্থ:
পাবনায় ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ। আগাম জাতের এই পেঁয়াজের আকস্মিক দরপতনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বেড়া,সাঁথিয়া,সুজানগর ও পাবনা সদর উপজেলার বিভিন্ন বিস্তৃর্ণ এলাকার কৃষকেরা। এমনকি পেঁয়াজ উৎপাদনে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা।
কৃষকদের অভিযোগ, বাজার দরে ভারসাম্যহীনতায় মিলছে না ন্যায্যমূল্য। লোকসান ঠেকাতে কৃষক পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট বাজারমূল্য নির্ধারণ ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি পেঁয়াজ চাষিদের। অপরদিকে সংরক্ষণ অনুপযোগী হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি ও ভরা মৌসুমে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানীকে দরপতনের কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট'রা।
পাবনা জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে ৮৫৮০হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লক্ষ ২০ হাজার টন। লক্ষমাত্রার অধিক পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও বাজারে সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম অনেকটা কম। যেকারণে অসন্তুষ্ট পাবনার কৃষকরা।
জানা যায়, চলতি মওসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় পাবনায় মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘাপ্রতি ৫০-৫৫ মণ ফলনে ছাড়িয়েছে কৃষিবিভাগের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা। মওসুমের প্রথম দিকে প্রতি মণ পেঁয়াজ দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমান বাজার দর অনেক কম। হাট-বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১৪০০-১৬০০ টাকা। যে কারণে ভালো ফলনেও চাষিরা পড়েছেন লোকসানের দুশ্চিন্তায়।
কৃষকরা জানান, বর্তমানে পেঁয়াজের বীজ সংগ্রহ থেকে শুরু করে পেঁয়াজ উত্তোলন পর্যন্ত প্রতি বিঘায় খরচ হয় প্রায় ১ লক্ষ টাকা। বর্তমান বাজার মুল্য অনুযায়ী আমাদের বিঘা প্রতি লোকসান হবে ২০-৩০ হাজার টাকা। সারাবছর পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদন করে লোকসান হলে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তারা। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুনির্দিষ্ট বাজার মুল্য নির্ধারণ ও বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধের দাবি জানান তারা।
পাবনা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো: জামাল উদ্দিন বলেন, কৃষি ও বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সভায় আমরা দুই মাস আমদানি বন্ধ রাখার কথা বলেছি। বাকিটা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বিষয়।