lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-01-26T14:54:50Z
ব্রেকিং নিউজ

বাঘায় আমের মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে বাঘার আম চাষীরা

Advertisement


 

আব্দুল হক, বাঘা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘায় আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই মুকুলের মিষ্টি গন্ধে সুবাসিত হবে প্রকৃতি। এ সময় মুকুলের যত্ন নিলে আমের ভালো ফলন পাওয়া যায়। তাই আমের মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার বাগান মালিক ও কটবন্ধক নেয়া আম ব্যবসায়ীরা। 

কৃষি অফিস বলছেন,শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত উপজেলায় গড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই ৬০/৭০ ভাগ গাছে মুকুল দেখা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে । গাছে মুকুলে যাতে পোকার আক্রমণ  না হয় ও ঝরে না পড়ে সেদিকেই নজর দিচ্ছে কৃষকরা। গাছে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি অফিস । 

দুইটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বাঘা উপজেলা। 

বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে,গাছে বের হচ্ছে মুকুল। এদিকে কুয়াশার কারণে মুকুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন আম চাষিরা। 

 তবে কৃষি অফিস বলছে, আমের মুকুল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম। কারণ এখনও সব গাছে মুকুল আসেনি। আর পুরোদমে মুকুল আসার সময় শীত কেটে যাবে।

 উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকার আম চাষী শফিকুল ইসলাম সানা এই প্রতিবেদককে বলেন,আমার প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে আমের বাগান আছে। বেশিরভাগ গাছেই মুকুল ফুটেনি। তবুও সব গাছেই কীটনাশক স্প্রে করছি।

 উপজেলা সদর আমচাষি আবদুল খালেক বলেন, কিছু আম গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। এখন গাছের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। বাগানের আগাছা পরিষ্কারসহ পোকা-মাকড় দমনে স্প্রে করা হচ্ছে কীটনাশক। এতে পোকা যেমন দূর হবে, তেমনি গাছে দেখা দেবে বেশী বেশী মুকুল। এতে করে ফলন ভালো হবে।

আমচাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, অধিক মুনাফার আশায় মৌসুমের আগেই বাগানের যত্ন নেওয়া শুরু করা হয়েছে। এখন ২.৫ ইসি ফিডল্যাম,সালফার শাহেন ও ইমিডাক্লোপ্রিড ইমিসাফি ওষুধ স্প্রে করছি। এতে গাছে বেশি মুকুল আসার সম্ভাবনা থাকে। আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলনও ভালো হবে। তিনি আরো বলেন,এই সময়ে আমের মুকুলের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। মুকুল আসার এই সময়ে সাধারণত কুয়াশা ও পোকার আক্রমণ হয়।  তবে একটি কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক নাশক স্প্রে করলে এই সমস্যা থাকে না। 

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, উপজেলায়-৮ হাজার ৩ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। আম গাছের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ ৫০ হাজার ৩ শত ৮০ টি। এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় এক লক্ষ্য মেট্রিক টন। 

রবিবার পর্যন্ত উপজেলার দু'টি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে প্রায় ৪০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই অধিকাংশ গাছে মুকুল ফুটবে। এ জন্য বিভিন্ন পরিচর্যা নিয়ে আম চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছে কৃষি অফিস।