Advertisement
বিধান মন্ডল (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় বিএনপির দু'গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া বসতঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৯ জানুয়ারী) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কিত্তা, বোয়ালিয়া ও বিভাগদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মোট ৩টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাংচুর করে সংঘর্ষকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার নকুলহাটি বাজারে বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারীর জেরধরে আজ রবিবার সকালে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় কিত্তা গ্রামের যুবদল নেতা হাসান আশরাফের বাড়িসহ ৩টি বাড়িতে হামলা করে সংঘর্ষকারীরা। এসময় হাসান আশরাফের একটি টিনের গোয়ালঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় সংঘর্ষকারীরা। এছাড়াও বোয়ালিয়া গ্রামের মাজেদ মোল্যা ও বিভাগদী গ্রামের শহীদ সরদারের বাড়িতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ হামলায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
যুবদল নেতা হাসান আশরাফ বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় নকুলহাটি বাজারে মারামারির ঘটনার সময় আমি নেত্রী শামা ওবায়েদ এর সাথে বল্লভদী ছিলাম। আজ রবিবার সকালে নাছির মাতুব্বর তার কয়েকশত লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। আমার একটি খরেরঘর আগুন ধরিয়ে দেয়। ফিরে যাওয়ার সময় বোয়ালিয়া গ্রামে বিএনপি নেতা মাজেদ মোল্যার বাড়িতেও হামলা চালায় তারা। এছাড়াও একাধিক জায়গায় হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাছির মাতুব্বর বলেন, গতকাল বিকালে নকুলহাটি আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে হাসান আশরাফের সমর্থকরা। তারই জের ধরে আজ সকালে আমার সমর্থকদের সাথে হাসান আশরাফের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা তার এবং তার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে তা আমার জানা নেই।
সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান সাকিল বলেন, শনিবার থেকেই আমরা এই এলাকায় অবস্থান করছি। দুইপক্ষের লোকজনের সাথে কথা বলে শান্ত থাকার আহ্বান করেছি। তারপরও রবিবার সকালে নাছির মাতুব্বরের লোকজন কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয় ভাংচুর করেছে। অগ্নিসংযোগও করেছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।