Advertisement
এম এইচ শাহীন:
মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদীতে ডাকাতি প্রস্তুতি কালে পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে নৌ ডাকাত সরদার কানা জহির গ্রুপের ২জন নিহত ও ১১জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মেঘনার আতঙ্ক কানা জহির সহ তার বাহিনীর সাথে মতলব উত্তরের নাচিরাকান্দি চর এলাকায় পুলিশের সাথে গোলাগুলি হয়। কানা জহির বেঁচে গেলেও তার বাহিনীর রিফাত ও রাসেল নামে ২ সদস্য নিহত ও ১১ সদস্য আহত হয়।
জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের চাঁদপুর- মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে ডাকাতি প্রস্তুতি কালে, পুলিশের সাথে নৌ ডাকাত কানা জহিরের গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নৌ ডাকাত সরদার কানা জহিরের গ্রুপের দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আহত আইয়ুব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন: চাঁদপুর মতলব থানার দশানি গ্রামের রিফাত (২৯) ও মতলব ভাষানচর গ্রামের রাসেল (৩০)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেঘনা নদীতে ডাকাতি প্রস্তুতি কালে নৌ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে এঘটনা ঘটে থাকতে পারে। গুলিবিদ্ধ আহতদের মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এবিষয়ে
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাসুদ হোসেন জানান, রাত ৮ টার দিকে তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে দুই জন হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। আরেকজন গুলিবিদ্ধ আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লল হোসেন বলেন, ঘটনাটি চাঁদপুরে ঘটেছে। আমরা সংবাদ পেয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এসে দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরেছি। আরেকজন গুলিবিদ্ধকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, নদীতে চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কানা জহির ও কিবরিয়া গ্রুপের মধ্যে রাত সাড়ে ৭ টার দিকে গুলি বিনিময় হয়।