Advertisement
বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীর আজিমপুর বাজারে আদালতের আদেশ অমান্য করে জোর করে ঘর উত্তোলনকারীদের বিচার চেয়ে ১১ জানুয়ারী সকাল ১০ টায় আজিমপুর বাজারের একটি দোকানে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগি অসহায় পরিবার বাবুল খান গংরা ।
সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুকুয়া মৌজার মধ্যে আজিমপুর বাজার অবস্থিত । এই বাজারের জে এল নং ১৫ খতিয়ান নং ১৭৩ এরদাগ নং ৪৩ এর ২২ শতক জমি নিয়ে একই এলাকার এছহাক মীর গং ও ইউনুছ খান গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে । বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিকবার শালিস ব্যবস্থায় ও বিষয়টি ফয়সালা না হওয়ায় । ২০২১ সালে এছহাক মীর গংরা সহকারী জজ আদালত আমতলীর আদালতে ইউনুছ গংদের বিবাদী করে মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার নং ৭২২/২০২১ বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে বিবাদীরা শান্তি শৃঙখলা বাজায় রাখার নিমিত্তে ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ ৯৪ ধারার বিধান মতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমতলী থানাকে নির্দেশ প্রদানের প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত বিবাদী পক্ষের আবেদন মনজুর করে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমতলী থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
কিন্তু ১০ জানুয়ারী দেওয়ানী মামলার বাদী পক্ষ এছহাক মীর, শহিদুল মীর, শাহিন মীর , শামিম মীর আদালতের আদেশ অমান্য করে উক্ত বিরোধীয় জমিতে ঘর উত্তোলন করেন। তখন বিবাদী পক্ষ বিষয়টি আমতলী থানাকে জানালে থানা পুলিশ গিয়ে ঘর উত্তোলনের কাজ বন্ধ করেদেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনুছ খান এর পুত্র বাবুল খান অভিযোগ করে বলেন এছহাক মীর, শহিদুল মীর, শাহিন মীর , শামিম মীররা দেশের কোন আইন কানুন মানেনা গায়ের জোরে আমাদের জমি দখল করতে চায় । এই জমি নিয়ে একাধিকবার শালিস ব্যবস্থা হয়েছে এছহাক মীর গংরা শালিস বিচার ব্যবস্থা অমান্য করেন। ১০ জানুয়ারী এছহাক মীর গংরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ভাড়াটে বাহিনী নিয়ে আমাদের জমিতে ঘর উত্তোলন করেন। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের তাড়িয়ে দেয়। আমরা থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেয় । এ ঘটনায় ভুমি দখলবাজ শহিদুল মীর ,শাহিন মীর ,শামিম মীর গংদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে এছহাক মীরের পুত্র শহিদুল মীর তাদেও বিরুদ্ধে আনীত অসি¦কার করেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘর উত্তোলনের বিষয় কোন কথা বলবেন না বলে জানান।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন পুলিশ পাঠিয়ে ঘর উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । আইন অমান্য করলে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।