lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-02-26T12:33:41Z
ব্রেকিং নিউজ

লালপুরে কৃষি অধিদপ্তরের জমি জবর দখলের চেষ্টা

Advertisement


 

নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ 

নাটোরের লালপুরে কৃষি অধিদপ্তরের পরিত্যক্ত ভবনসহ সরকারি জমি জবর দখলের চেষ্টা চলছে, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া এলাকায় নাগশোষা মৌজার ২ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ৬৮ নম্বর দাগের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের এ জমি বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন এবং এর দেখভালের দায়িত্ব ওয়ার্কস বিল্ডিংস ডিপার্টমেন্টের। ১৯৬০-এর দশকে এখানে কৃষি অধিদপ্তরের একটি ভবন নির্মিত হয়, যেখানে প্রায় বিশ বছর আগেও কৃষি কর্মকর্তারা বসবাস করতেন।


তবে অভিযোগ উঠেছে, নাগশোষা গ্রামের মৃত আলীজান শাহের ছেলে গোলাম রসুল ও তার সহযোগীরা একাধিকবার এ জমি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, তারা পরিত্যক্ত ভবন ও প্রাচীরের ইট, দরজা-জানালা খুলে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে গোলাম রসুল দাবি করেছেন, তিনি ও তার ভাই যুবলীগ কর্মী নাসির শাহ এ জমির বৈধ মালিক। তিনি জানান, খারিজ কেস নং ৬০১৩/২৩-২৪ অনুযায়ী তাদের নামে ৯৫৯ নম্বর খতিয়ান প্রস্তাবিত হয়েছে। তবে সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী, এ জমিতে কৃষি অধিদপ্তরের একটি গোডাউন রয়েছে এবং জমিটির মালিক এখনো সরকার। ফলে কিভাবে এটি ব্যক্তি মালিকানায় গেল, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।


স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছরের ২২ নভেম্বর যুবলীগ কর্মী নাসির ও গোলাম রসুলের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রসহ জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায় এবং সেখানে একটি ঘর তুলতে চেয়েছিল। তবে স্থানীয় জনগণ বাধা দিলে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। খবর পেয়ে লালপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দখলদাররা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে বিলমাড়ীয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, "কৃষি অধিদপ্তরের জমি কিভাবে ব্যক্তি মালিকানায় যায়, তা বোধগম্য নয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।" তবে লালপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারেননি।


সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী জমিটি এখনো সরকারের মালিকানাধীন। তবে দখলদাররা কীভাবে মালিকানা দাবি করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে সরকারি জমি রক্ষা করা যায়।