lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-02-23T10:30:22Z
আইন ও অপরাধ

বিদেশ যেতে ছয় লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

Advertisement


 


বরগুনা প্রতিনিধি:

বিদেশ যেতে ছয় লক্ষ টাকা যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী শুরভী আক্তারকে জামাতা ফেরদৌস খাঁন পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কন্যার বাবা দেলোয়ার হাওলাদার এমন অভিযোগ করেছেন। ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগগঞ্জ থানায় আদমজি এলাকার সুখের ঠিকানার ভাড়াটিয়া বাসায় শনিবার সকালে। ময়নাতদন্ত শেষে ওইদিন রাতে তার মহদেহ আমতলী উপজেলার চাউলা গ্রামের বাবার বাড়ীর দাফন করা হয়েছে। 


জানাগেছে, ২০২২ সালে আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা গ্রামের দেলোয়ার হাওলাদারের মেয়ে শুরভীকে একই ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের শানু খাঁনের ছেলে ফেরদৌস খাঁনের সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে নানা অযুহাতে যৌতুক নেন জামাতা ফেরদৌস এমন অভিযোগ বাবার। যৌতুক না দিলে স্ত্রী শুরভীকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। গত তিন মাস আগে শুরভীকে স্বামী  ফৌরদৌস ঢাকায় নিয়ে যায়। ১৫ দিন আগে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে তার বাবার  কাছ থেকে ছয় লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে। এ টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আদমজি এলাকার সুখের ঠিকানার ভাড়াটিয়া বাসায় স্বামী ফেরদৌস খাঁন স্ত্রী শুরভীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ কন্যার বাবা দেলোয়ার হাওলাদারের। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্ত্রীর গলায় রশি পেচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরে আত্মহত্যা করেছে বলে শ্বশুরকে খবর দেয়। বাবা দেলোয়ার হাওলাদারের আরো অভিযোগ জামাতার চাহিত যৌতুক না দেয়ায় মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। নারায়গঞ্জে ময়না তদন্ত শেষে শনিবার রাতে নিহত শুরভীকে তার বাবার বাড়ীতে দাফন করা হয়েছে।  


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, প্রায়ই স্বামী ফেরদৌস খাঁন স্ত্রী শুরভীকে মারধর করতো। শনিবার সকালে স্বামী তাদের ডেকে বলে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। 


বাবা দেলোয়ার হাওলাদার কান্নজনিত কন্ঠে বলেন, বিয়ের পর থেকেই জামাতাকে অন্তত ৩ লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছি। কিন্তু আমার মেয়ের নির্যাতন বন্ধ করেনি। গত তিন মাস আগে আমার মেয়েকে জামাতা ঢাকায় নিয়ে যায়। গত ১৫ দিন আগে বিদেশ যাবে বলে ছয় লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন। আমি তার দাবীকৃত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবী করছি। 


জামাতা ফেরদৌস খানের মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। 


সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, স্বামী চেয়েছিল ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিয়ে যেতে কিন্তু দেয়া হয়নি।