Advertisement
রবীন্দ্রনাথ সরকার, রংপুর প্রতিনিধি:
আইসো বাহে তিস্তা বাচাই এই শ্লোগানকে সামনে রেখে তিস্তার পানি বন্টন ও তিস্তা নদীর মাহপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘন্টার কর্মসূচির শেষ দিনে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিসাব বাংলাদেশের প্রাপ্য অধিকার, এটি কোনও করুণা বা দয়ার বিষয় নয়। উত্তরাঞ্চলের তিস্তাপাড়ের পানিবঞ্চিত মানুষ আজ সারাবিশ্বকে জানিয়ে দিতে চায় যে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিশ্চিত করা উচিত।
মঙ্গলবার বিকালে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টার ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচির সমাপনী জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “দুঃখের বিষয়, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তিস্তার পানির ন্যায্য হিসাব এটা আমাদের অধিকার হওয়া সত্ত্বেও সেটি আদায়ের জন্য আজ আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের মানুষ, নিজেদের ন্যায্য দাবির জন্য রাজপথে নামতে বাধ্য হচ্ছে। ”তারেক রহমান জনগণের এই ন্যায্য আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, “তিস্তা নদী রক্ষার লড়াই শুধু তিস্তাপাড়ের মানুষের লড়াই নয়, এটি গোটা বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। ”
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রতিবেশি দেশ ভাতরের সাথে যেসব চুক্তি সম্পাদন করেছে, সেগুলো পুনর্মূল্যায়ন করা দরকার। তারেক রহমান বলেন,ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচারী পতিত সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বলেছিলেন আমরা ভারতকে যা দিয়েছি ভারত কখনও ভুলবে না।
আসলেই তাই, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সেই ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলে প্রতিবেশি দেশ ভারত তাকে মনে রেখে আশ্রয় দিয়েছে। আসলে আমাদের প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসে না, তারা ভালোবাসে পতিত ফ্যাসিষ্ট সরকার প্রধানকে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, উত্তরাঞ্চলকে মরুকরণ থেকে বাঁচাতে লড়াইয়ের কোনও বিকল্প নাই। আমাদেরকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। ‘তিস্তা নদী আমাদের মা, মরতে আমরা দিব না’, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’-সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়ে বিদায় নেন।