Advertisement
নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমরা উদ্যোগ নিয়েছি মডেল মসজিদগুলোর ইমামদের বিষয়ে একটা নীতিমালা করবো। তাদের সম্মানজনক বেতন ভাতা, উৎসব ভাতা দেওয়া হবে। আর যেসব মসজিদ জনগণ প্রতিষ্ঠা করেছে সেসব মসজিদে আর্থিক সমস্যা থাকলে আলোচনা মাধ্যমে সম্মানজনক ভাতা নির্ধারণ করতে ডিসি-ইউএনওদের প্রতি অনুরোধ করবো। আমরা দায়িত্বে থাকাকালীন এসব করে যেতে পারবো বলে আশা করি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি ) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নাটোরের লালপুরে নবনির্মিত উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টাে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, 'আলেম উলেমাদের প্রতি মানুষের ধারণাটা একটু নিচু। যারা আমাদের নামাজ পড়ান, কুরআনের তালিম দেন, তাদের আমরা নিচুতে ফেলে রাখলে আমরা কোনদিন বড় হতে পারবো না। তাই আমাদের মাইন সেটআপ পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের আলেম উলামাদের সম্মান দিতে হবে।'
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, 'নামাজ মানুষকে অন্যায় ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে। তাই আমরা চাচ্ছি, আমাদের সমাজ অপরাধ মুক্ত সমাজ হোক। আমাদের সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধের বিরাজ ঘটুক। এবং আমাদের সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের মধ্যে বিরাজ করুক। আর অন্তরে যদি হিংসা থাকে তাহলে মানবিক গুনাবলী বিরাজ করে না। আর অন্তরকে যদি সব ধরনের ময়না থেকে পবিত্র রাখতে পারি, তাহলে এই জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।'
এসময় নাটোর জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনের সভাপতিত্বে ও লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নাটোর পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন, পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন, মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস-উজ-জামান প্রমূখ।
পরে ধর্ম উপদেষ্টা উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনের ফলক উন্মোচন করেন এবং সেখানে মোনাজাতে অংশ নেন।
এর আগে, বাগাতিপাড়া উপজেলায় নবনির্মিত উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা মডেল মসজিদটি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন যৌথভাবে নির্মাণ করেছে। 'প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় পর্যায়)' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই তিনতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর এটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। স্থাপনাটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এ মডেল মসজিদে একসাথে ৯৫০ জন মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারবে। এরমধ্যে আলাদা প্রবেশপথসহ ১২০ জন মহিলার নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
এ মসজিদে পুরুষ, মহিলা, অক্ষম ও বয়স্কদের ওযু ও নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিসসহ ইমাম প্রশিক্ষণ, হজযাত্রী নিবন্ধন, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, অটিজম কর্নার, এতিমখানা, মৃতদেহ গোসল, ইসলামিক লাইব্রেরি ও ইসলামি বই বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া, এখানে সংশ্লিষ্ট মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমের আবাসন ব্যবস্থাসহ গেস্ট রুম, কনফারেন্স রুম ও গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।