Advertisement
এম এইচ শাহীন: মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদীতে ডাকাত সরদার কানা জহিরের গ্রুপের সাথে পুলিশের গোলাগুলিতে কানা জহির গ্রুপের দুইজন নিহতের ঘটনার সময় ৯ মাসের অন্তঃ সত্ত্বা নারী পিংকি আক্তার (১৯) নামে একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পিংকি'র চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন মুন্সিগঞ্জ কালিরচর এলাকার ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া মিয়াজী।
জানা যায়, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আধারা ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামে একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি কানা জহিরের গ্রুপের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছে।
আহত নারী পিংকি আক্তার বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে ওদের ঝগড়া হয়। এসময় আমাকে দরজার সামনে পেয়ে গুলি করে।
আহত অন্তঃ সত্ত্বা নারী পিংকি আক্তারের মা নুরজাহান বেগম বলেন, গতকাল রাতে এত বড় ঘটনার পরও জহিরকে ধরতে পুলিশের তৎপরতা না থাকায় সকালেই ফের বেপরোয়া হয়ে উঠলেন জহির ও তার লোকজন। এসময় সকালে কানা জহির গ্রুপের হামলার সময় রাজু সরকারের বাড়িতে হামলা চালায় কানা জহিরের ভাই শাহিন বেপারি ও তার লোকজন। এসময় গুলিতে আহত হন আমার ৯ মাসের অন্তঃ সত্ত্বা মেয়ে। আজকে তাকে ডেলিভারির জন্য হাসপাতালে নেয়ার কথা ছিলো। আহত অবস্থায় ৯ মাসের অন্তঃ সত্ত্বা পিংকি কে বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত; বৃহস্পতিবার রাতে মুন্সিগঞ্জ- চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে কানা জহির গ্রুপের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ২ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন মুন্সিগঞ্জ সদরের আধারা ইউনিয়নের ভাষানচর এলাকার কামাল ফকিরের পুত্র রাসেল ফকির (৩৩) ও চাঁদপুরের মতলব থানার তুহিন (২৯)।
মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক বলেন, আহত নারীর শরীরের ডান পাশে কোমড়ের নিচে গুলি ঢুকে অপর পাশ থেকে বের হয়ে গেছে।এজন্য অস্ত্রোপচার তিনি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন। তবুও অন্তঃ সত্ত্বা নারীকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শামসুল আলম সরকার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
