lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-02-03T13:56:58Z
মানববন্ধন

মোটরসাইকেল চালককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবীতে মানববন্ধন

Advertisement


 

বরগুনা প্রতিনিধি:

মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেয়ায় মোটর সাইকেল চালক আরাফাত খাঁনকে (২২) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত  তালতলী উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক শহীদ সিকদার, তার দুই ছেলে সোহেল সিকদার, আরাফাত সিকদার ও ভাতিজা বায়েজিদ সিকদারসহ আরো জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবীকে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে কচুপাত্রা বাজারে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে সহ¯্রাধিক মানুষ অংশ নেয়।  


জানাগেছে, তালতলী উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক পঁচাকেড়ালিয়া ইউনিয়নের কলারং গ্রামের শহীদ সিকাদারের দুই ছেলে সোহেল সিকদার ও আরাফাত সিকদার গত বৃহস্পতিবার কচুপাত্রা বাজারে মাদক বিক্রি করতে আসে। ওই সময় মোটর সাইকেল চালক আরাফাত খাঁন বাঁধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্ধ হয়। গত শনিবার রাত নয়টার মোটর সাইকেল চালক আরাফাত খাঁন প্রতিবেশী হাবিব উল্লাহকে নিয়ে কচুপাত্রা পুরাতন বাজারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ওত পেতে থাকা মাদক বিক্রেতা শহীদ সিকদার, তার দুই ছেলে সোহেল সিকদার, আরাফাত সিকদার ও ভাতিজা বায়েজিদ সিকদারসহ ১০-১২ জন সন্ত্রাসী আরাফাত খাঁনের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। পরে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। এ সময় মোটর সাইলেকের থাকা তার প্রতিবেশী হাবিব উল্লাহ গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান মোটর সাইকেল চালক আরাফাত খাঁনকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। অপর আহত হাবিব উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। নিহত আরাফাত খাঁনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত শহীদ সিকদার ও তার ছেলেসহ আরো ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবীতে সোমবার বিকেলে কচুপাত্রা বাজারে মানববন্ধন করা হয়েছে। শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক খাঁনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন  তালতলী উপজেলা জামায়াতের আমিন মোঃ শাহজালাল প্যাদা, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফোরকান মাহমুদ জিয়া,  মাওলানা ইদ্রিসুর রহমান, হারুন-অর রশিদ ও মোঃ আবু হানিফ প্রমুখ।   

     

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে একজন তরতাজা মানুষকে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করবে তা মেনে নেয়া যায় না। দ্রæত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত শহীদ সিকদার ও তার দুই ছেলে সোহেল সিকদার, আরাফাত সিকদার ও ভাতিজা বায়েজিদ সিকদারসহ সকলকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান তারা। নইলে কঠোর কর্মসুচী দেয়ার ঘোষনা দেন বক্তারা। 


তালতলী থানার ওসি মোঃ শাহজালাল বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে। পুলিশ এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।