lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-02-10T12:34:11Z
জাতীয়

জাতীয় পরিচয়পত্রে চেহারা নয়, আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় যাছাইয়ের দাবি পর্দানশীল নারীদের

Advertisement


 

ইসমাইল মাহমুদ, মৌলভীবাজার:

চেহারা দেখিয়ে নয়, আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের পর্দানশীন নারীরা। সোমবার (১০ ফেব্রæয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ রোডস্থ শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সামনে মৌলভীবাজার পর্দানশীন নারী অধিকার পরিষদের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আহম্মদ রহিমা বেগম, আহম্মদ মরিয়ম, আহম্মদ আছিয়া বেগম, আহম্মদ সাহানা আক্তার, আহম্মদ সানজিদা আক্তার কলি প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘শুধুমাত্র পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে পর্দানশীন নারীরা বৈষম্যের শিকার। গত ১৬ বছর ধরে শুধুমাত্র মুখ না দেখানোর অজুহাত দেখিয়ে অসংখ্য পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব তথা জাতীয় পরচিয়পত্র আটকে রাখা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও করা হচ্ছেন বঞ্চিত। পরিচয় যাচাইয়ে অনেকটা জোর করে বেগানা পুরুষদের সামনে পর্দানশীল নারীদের চেহারা দেখাতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে পর্দানশীন নারীরা মৌলিক ও নাগরিক অধিকার বঞ্চিত হয়ে নিদারুণ কষ্টে পতিত হয়েছেন। আমরা এসব হেনস্তার অবসান চাই।’

তারা বলেন, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানেরর মূল লক্ষ্য ছিলো বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। গত ১৬ বছর শুধুমাত্র পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে নারীদের সাথে যে বৈষম্য হয়েছে, আমরা এ বৈষম্যের পরিসমাপ্তি চাই। অবিলম্বে পর্দানশীন নারীদের দ্বীনি অধিকার ও প্রাইভেসীর অধিকার অক্ষুন্ন রেখে জাতীয় পরিচয়পত্র তথা এনআইডি কার্ড প্রদান করা হোক। পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও পর্দানশীন নারীদের দ্বীনি ও প্রাইভেসীর অধিকার অক্ষুন্ন রেখে আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হোক। মানুষের মুখের ছবি পরিবর্তনশীল। সময়ের ও অবস্থার সাথে মানুষের চেহারার দৃশ্য পরিবর্তন হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয়, মুখচ্ছবি পরিচয় যাচাইয়ের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নয়। অথচ সেই মুখচ্ছবির অজুহাতেই পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব বঞ্চিত করা হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও করা হচ্ছে বেপর্দা। এছাড়া ছবি ও চেহারা মিলিয়ে সনাক্তকরণ একটি দুর্নীতিবান্ধব পদ্ধতি। অপরদিকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে সনাক্তকরণ দুর্নীতিরোধক পদ্ধতি।’