Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদক:-গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের এক সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া মানিক খান বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ইউটিউবার ও গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে পরিচিত। ছোটবেলা থেকেই অভিনয় ও লেখালেখির প্রতি গভীর মনোযোগী ছিলেন তিনি। স্কুলজীবনে একাধিক মঞ্চ নাটকে অভিনয় ও নাটিকা রচনা করেন, যা তার সৃজনশীল প্রতিভার প্রাথমিক প্রকাশ ছিল।সংস্কৃতি ও মিডিয়ার প্রতি ছিল তার প্রবল আগ্রহ।সিডি, ভিসিডি ও ক্যাসেটের সময় যখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল, তখন থেকেই তিনি পরিচালনা ও রচনায় দক্ষতার পরিচয় দেন। তার নির্মিত কমেডি, প্যারোডি ও গ্রামীণ কিচ্ছা পালা নিয়ে তৈরি অ্যালবামগুলো দর্শকদের কাছে দারুণ সাড়া ফেলে। ঐতিহ্যবাহী গ্রামবাংলার গল্প তিনি নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলতেন, যা দর্শকদের মন ছুঁয়ে যেত। তার এসব কাজ তাকে মিডিয়ার জগতে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করে।২০১৪ সালে তিনি ইউটিউবে যাত্রা শুরু করেন। ক্যামেরার পেছনে থেকে গল্প নির্মাণ করেই শুরু করেছিলেন তার কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ধীরে ধীরে ইউটিউবে তার কনটেন্ট দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয় হতে থাকে। গল্প বলার অভিনব কৌশল, সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তোলার দক্ষতা ও নির্মাণশৈলীর কারণে তার তৈরি করা ভিডিওগুলো ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে।বর্তমানে তিনি কয়েক হাজার ভিডিও তৈরি ও আপলোড করেছেন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। তার কনটেন্টের বৈচিত্র্য, বিনোদনমূলক উপস্থাপনা ও বাস্তবধর্মী চিত্রায়নের কারণে তার ইউটিউব চ্যানেল এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে লক্ষ লক্ষ দর্শক রয়েছে।
গণমাধ্যম কর্মী ও উপস্থাপক হিসেবে পরিচিতিকেবল ইউটিউবেই সীমাবদ্ধ নন, তিনি একজন দক্ষ গণমাধ্যমকর্মী হিসেবেও পরিচিত। দেশের জাতীয় দৈনিকের একাধিক পত্রিকায় পেশাদার দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকতার প্রতি তার গভীর ভালোবাসা ও দায়িত্বশীলতা তাকে একজন সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও প্রযোজনা করেছেন। তার সাবলীল উপস্থাপনা ও ভাবগাম্ভীর্য দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তার অনুষ্ঠানগুলোতে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা, সংস্কৃতি ও বিনোদনমূলক দিকগুলো তুলে ধরা হয়, যা দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হয়।
মানিক খান কেবল বিনোদন ও গণমাধ্যমে সীমাবদ্ধ নন, তিনি সমাজের উন্নতির জন্যও কাজ করে যাচ্ছেন। তার কনটেন্টের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন এবং মানুষকে সচেতন করেন। গ্রামীণ কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তিনি তার কাজের মাধ্যমে জীবন্ত করে তোলেন, যা নতুন প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয়।একজন সাধারণ ছেলে থেকে জনপ্রিয় ইউটিউবার, পরিচালক, গণমাধ্যমকর্মী ও উপস্থাপক হওয়ার পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম, সৃজনশীলতা ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। মানিক খান তার প্রতিভা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবকিছুই সম্ভব।
তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আরও বড় পরিসরে কনটেন্ট নির্মাণ ও সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। তার এই সাফল্যের যাত্রা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।