lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-02-05T13:14:18Z
জাতীয়

ঠাকুরগাঁওয়ে পেট্রলপাম্প বন্ধ, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

Advertisement


 

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:

‘পাম্পে এসে দেখি তেল দেয় না। এদিকে ভুট্টা ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য ৫ জন লোক নিছি। এখন যদি তেল না পাই তাহলে এমনি ৫ জনকে দিন হাজিরা দিতে হবে। এতে অনেক লোকসান হবে আমার।’ ৫ ফেব্রুয়ারি 

বুধবার  পাম্পে তেল না পেয়ে এভাবেই ভোগান্তির কথাগুলো বলছিলেন সালন্দর ইউনিয়নের কৃষক আবু বক্কর। তিনি বলেন, ‘আমি আগে জানতাম না যে আজকে তেলের পাম্পগুলোতে তেল পাওয়া যাবে না। ৩ একর জমিতে ভুট্টা চাষ করছি। সকাল ৫ জন লোককে কাজে নিছি, মেশিন বসাইছি। এখন যদি তেল না পাই তাহলে ক্ষেতে সেচ দিতে পারব না। এদিকে লোকগুলোকে কোনো কাজ ছাড়াই হাজিরা দিতে হবে। সব দিকে আমার লস।’ ঠাকুরগাঁও জেলায় হঠাৎ করে ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ১০টা থেকে তেল দেওয়া বন্ধ করে দেয় ঠাকুরগাঁও জেলার পাম্পগুলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জ্বালানি তেল না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও কৃষকরা। ঠাকুরগাঁও জেলার পেট্রলপাম্প মালিকদের দাবি, কেন্দ্রীয় নির্দেশনার কারণে সকাল থেকে সব পাম্প বন্ধ রাখা হয়েছে। সদর চৌধুরী পাম্পে বাইকে তেল নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন জিলানি। তিনি বলেন, পাম্পগুলো তেল দেবে না আগে থেকে ঘোষণা দিলে আমরা এমন ভোগান্তিতে পরতাম না। আমি দিনাজপুর যাব অফিসের কাজে, বাইকে তেল নেই। এখন পাম্প তেল দিচ্ছে না। দিনাজপুর না গেলে সমস্যা হবে। এই যে ভোগান্তি- এটার দায় কে নেবে?

বাসস্ট্যান্ড এলাকার ট্রাকচালক এজাবদ্দিন বলেন, গাড়িতে সবজি লোড করছি সকাল ৭টায়। এই মাল যাবে ঢাকায়। পাম্পে এসে দেখি বন্ধ, তেল দিচ্ছে না। গাড়িতে তেল না থাকায় আটকে পড়েছি। না জানি মালিকের সবজি নষ্ট হয়ে যায়। নারগুন ইউনিয়নের কৃষক কবিরুল ইসলাম বলেন, জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ডিজেলের প্রয়োজন। এই সময় বোরো ধানের জমিতে পানি দিতে হয়। কিন্তু ডিজেল পাচ্ছি না, এখন কীভাবে সেচ দেব। পাম্প বন্ধ থাকায় আমরা বিপাকে পড়েছি। মোটরসাইকেল চালক স্বরণ হক বলেন, সকালে কাজের জন্য বের হয়েছি। গাড়িতে তেল নেই, এখন পাম্পেও তেল দিচ্ছে না। দূরে কাজে যাব কিভাবে এখন। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য অনুরোধ করছি।

পেট্রলপাম্প মালিক সমিতির সভাপতি এনামুল হক বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাপেওএ) রাজশাহী বিভাগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান রতন এবং রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়- ৪ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা বা নোটিশ ছাড়াই আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকার নির্ধারিত নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। নিয়মিত রাজস্ব প্রদান করেও এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। অতীতে কখনও এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়নি। এতে পেট্রলপাম্প মালিকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।’ এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন, সকাল ১০টা থেকে ঠাকুরগাঁও জেলার সকল পাম্প বন্ধ ঘোষণা করেছেন মালিকরা। একে দুর্ভোগে পরেছে এ ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ মানুষ সহ কৃষকরা। আমরা দ্রুত সময়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।