lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
Last Updated 2025-02-04T14:14:53Z
ব্রেকিং নিউজ

নাগেশ্বরীর নেওয়াশী আলিম মাদ্রাসায় প্রক্সি দিয়ে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষা

Advertisement


 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

নাগেশ্বরীর নেওয়াশী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ উপেক্ষা করে (১৭জানুয়ারি ২৫খ্রিঃ) শুক্রবার সকালে ল্যাব সহকারী পদে ৬জন প্রার্থীর মধ্য অবশিষ্ট প্রস্কি দিয়ে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিভাবক ও স্থানীয়দের দাবি দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ নেছার উদ্দিন এবং ডিজির প্রতিনিধি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ সাজানো পরীক্ষা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে স্থগিত করণের।


জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার।অধ্যক্ষ নেছার উদ্দিন গত ৬নভেম্বর ২০২৪খ্রিঃ পত্রিকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির প্রতিনিধি ও উপ-পরিচালক জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রতিষ্ঠানে গত (১৭জানুয়ারি ২০২৫খ্রিঃ) শুক্রবার সকালে ল্যাব সহকারী পদে ১০জন প্রার্থীর মধ্য উপস্থিত ৬জন প্রার্থী মধ্য চুক্তিপ্রাপ্ত ১জন নেওয়াশী ইউনিয়নের গোবদ্ধন কুটি (ছড়ারপাড়) গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র নুর আলম অবশিষ্ট ৫জন প্রার্থী ভারা করা প্রস্কি হেলাল উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, রেজওয়ান উল্ল্যাহ রাকিব, মেহেদী হাসান, সোহেল রানাকে দিয়ে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষা নেয় ডিজির প্রতিনিধি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন। নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উক্ত মাদ্রাসার সভাপতি সিব্বির আহমেদ নিয়োগ পরীক্ষা বিধি মোতাবেক ও শতভাগ সচ্ছতার সাথে নেয়ার চেষ্ঠা করেন কিন্তু প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, সদস্য সচিব, শিক্ষক প্রতিনিধি, অভিভাবক সদস্য ও ডিজির প্রতিনিধি জাকির হোসেন একত্র হয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিময়ে তাদের মনোনীত নেওয়াশী ইউনিয়নের গোবদ্ধন কুটি (ছড়ারপাড়) গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র নুর আলমকে বিধিমালা অমান্য করে ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ প্রদান করে।


পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রিপোর্টারের উপস্থিতি পেয়ে অধ্যক্ষ নেছার উদ্দিন রিপোর্টারদের তথ্য নিতে বাঁধা প্রদান করেন এবং ডিজির প্রতিনিধি কে মোটা অঙ্কের অর্থে বিদায় করেন। এ নিয়ে এলাকার চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।


নেওয়াশী ইউনিয়নের বারেক উদ্দিন, মফিজুল হক, শাহাজাহান, আমজাদ হোসেনসহ অনেক বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নেছার উদ্দিন এবং ডিজির প্রতিনিধির যোগসাজশ ও প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে সাজানো এক পদে তাদের মনোনীতদতের নিয়োগ দেয়। নিয়োগ পরীক্ষা বিষয়ে আমরা এলাকাবাসী কিছুই জানি। এই অবৈধ নিয়োগ স্থগিত করতে সংশ্লিষ্ট উধ্বতর্ন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


নেওয়াশী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নেছার উদ্দিন বলেন, প্রতিটি মাদ্রাসায় এভাবে নিয়োগ হয় আর এই নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধিকে মোটা অংকের এবং কমিটিসহ বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিতে হয়।


মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও ডিজির প্রতিনিধি জাকির হোসেন বলেন, আমি বাড়ী টাঙ্গাইল। আমি দীর্ঘ ৫বছর লালমনিরহাট সরকারি স্কুলে চাকরি করেছি। নিয়োগ পরীক্ষায় আপনাদের কে আসতে বলেছে।


এ বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সভাপতি সিব্বির আহমেদ বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা বিধি মোতাবেক ও শতভাগ সচ্ছতার সাথে নেয়ার চেষ্ঠা করেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।